নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ মে৷৷ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছি৷ আমাদের পাশে দাঁড়ান৷ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই আর্জি জানিয়ে গণ-পোস্টকার্ড পাঠালেন চাকরিচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষক-শিক্ষিকা৷ রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন পোস্ট অফিসে সোমবার ওই সব পোস্টকার্ড পাঠিয়েছেন তাঁরা৷
করোনা-র সংক্রমণে চাকরিচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষকরা আন্দোলনে শামিল হতে পারছেন না৷ প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁদের৷ রবিবার চাকরিচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষকরা নিজ নিজ এলাকায় প্রতিবাদ বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন৷ পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার চাকরিচ্যুতরা পোস্টকার্ডে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের অভাব অভিযোগ জানিয়েছেন৷ সাথে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য ত্রিপুরা সরকারের কাছে দাবি রেখেছেন তাঁরা৷ সরকারকেই ১০৩২৩ কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে বলেও সুর চড়িয়েছেন ওই সব শিক্ষককুল৷
আন্দোলনকারীদের পক্ষে ডালিয়া দাস বলেন, চাকরিচ্যুত প্রতিটি পরিবার অনাহার-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে৷ অনেকে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার অভাবে ভুগছেন৷ সরকার অবিলম্বে তাঁদের পাশে না দাঁড়ালে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হতে বাধ্য হবেন, একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন তিনি৷
গত ৩১ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ১০৩২৩ শিক্ষক-কর্মচারী চাকরিচ্যুত হয়েছেন৷ এরই মধ্যে করোনা-র সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার জন্য নির্দেশ জারি করেছে সরকার৷ স্বাভাবিকভাবেই, চাকরিচ্যুত হয়েও ওই শিক্ষকরা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হওয়ার কোনও সুযোগ পাচ্ছেন না৷ পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখেই তাঁদেরকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হচ্ছে৷ তবে দিন যত গড়াচ্ছে ততই চাকরিচ্যুত পরিবারের লোকজনদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে৷
ত্রিপুরা সরকার চাকরিচ্যুতদের বিভিন্ন পদে পুনঃনিযুক্তির জন্য ইতিমধ্যেই সুপ্রিমকোর্টের কাছে একটি আবেদন জানিয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে অনুমতি পেলেই রাজ্য সরকার তাদের চাকরিতে নিযুক্তির করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ তবে তা কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে সংশয় দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে৷