নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ মে৷৷ করোনা ঈদের খুশিকে কিছুটা ম্লান করেছে ঠিকই, কিন্তু সরকারি নিয়ম মেনে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেছেন আজ৷ মসজিদে পারস্পরিক দূরত্ব মেনে এবং বাকিরা বাড়িতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন৷ গেদু মিয়াঁ মসজিদের আব্দুল রহমান বলেন, খুশির ঈদে এবার আমরা মর্মাহত৷ কারণ, করোনা-র প্রকোপে সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি ঘটছে৷ তাই, প্রয়াতদের আত্মার শান্তি কামনায় এবং করোনা আক্রান্তদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় আজ আমরা আল্লাহ-এর কাছে প্রার্থনা করেছি৷
রমজান মাস শেষে আজ ঈদ-উল-ফিতর পালিত হচ্ছে৷ খুশির ঈদে অন্যান্য বছরের মতো চমক এ বছর দেখা যায়নি৷ ঈদ উপলক্ষ্যে মসজিদে মানুষ জড়ো হতে পারেননি৷ কারণ, করোনা-র প্রকোপে লকডাউন মেনে চলতে গিয়ে জমায়েত বা সমাবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে৷ জমিয়ত উলেমায়ে হিন্দ-এর পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে ঘোষণা করা হয়েছিল, ঈদ উপলক্ষ্যে মসজিদে জমায়েত হবে না৷ শুধুমাত্র কয়েকজন মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবেন৷ বাকিরা বাড়িতেই নামাজ পড়বেন৷ আজ তার ব্যতিক্রম কোথাও দেখা যায়নি৷ করোনা মহামারির জন্য লকডাউনের সরকারি নিয়ম সকলেই পালন করেছেন৷
গেদু মিয়াঁ মসজিদের ইমাম আব্দুল রহমান বলেন, প্রত্যেক বছর রীতি অনুযায়ী জমায়েত করে আমরা নামাজ আদায় করেছি৷ কিন্তু এ বছর তা সম্ভব হয়নি৷
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, কোবিড-১৯ প্রকোপে সারা বিশ্বে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ সাড়ে তিন লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ কয়েক লক্ষ মানুষ ওই ভাইরাসের থাবায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাই, খুশির ঈদ আজ বিষাদময় হয়ে উঠেছে৷ তাঁর কথায়, রমজান মাসে সকলের জন্য প্রার্থনা করেছি৷ আজ ঈদ উপলক্ষ্যেও করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রায়াতদের আত্মার শান্তি কামনা করার সাথে অসুস্থদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি৷ তাঁর দাবি, লকডাউনের সরকারি আদেশ মেনেই মসজিদে এবং ঈদগাহে আমরা নামাজ আদায় করেছি৷ অনেকেই আসতে চেয়েছিলেন৷ তাঁদের করজোড়ে বাড়ি ফিরে যেতে বলেছি৷ তাঁরা বাড়িতেই নামাজ আদায় করেছেন৷