নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ মে৷৷ দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের দালালদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন এক ব্যক্তি৷ তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ আক্রান্ত আহত ব্যক্তির নাম কাজী আবদুল কালাম৷ এ ব্যাপারে ৫ ভারতীয় দালালের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷
অভিযুক্তরা হল রহিম মিয়া, বাবুল মিয়া, ইনুস মিয়া, আনোয়ারা বেগম এবং কুলসুম আখতার৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিলোনিয়ার আমজাদ নগরে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে৷
ঘটনার বিবরণে জানা যায় বিলোনিয়ার ত্রিপুরা বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিনই বাংলাদেশের নাগরিকদের অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে এক শ্রেণীর দালাল৷ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশিদের এরাজ্যে এনে বসবাস করার সুযোগ করে দিচ্ছেন তারা৷ প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ এ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে৷ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ত্রিপুরা সরকার ত্রিপুরা বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের নজরদারি বৃদ্ধি এবং অনুপ্রবেশ বন্ধে স্থানীয় নাগরিকদের সাহায্য চেয়েছে সরকার৷ সরকারি নির্দেশ ও আহবানকে সাড়া না দিয়ে দালালরা প্রতিদিন বাংলাদেশী নাগরিকদের রাজ্যে প্রবেশের সুযোগ করে দিচ্ছে৷ দালালদের এই ধরণের কু কর্ম মেনে নিতে পারছিলেন না বিলোনিয়ার আমজাদ নগর সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা৷ কাজী আবদুল কালাম বিষয়টি ফোন করে বিলোনিয়া থানার পুলিশকে জানিয়েছিলেন৷
তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে দালালরা আমজাদ নগরের কাজী আবদুল কালামের পরিবারের উপর সঙ্ঘবদ্ধ হামলা চালায়৷ হামলায় গৃহকর্তা কাজী আবদুল কালাম গুরুতরভাবে আহত হন এবং এক শিশুকে আসছে মেরে ফেলার চেষ্টা করে৷ সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী কাজী আবদুল কালামের ওপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ বিলোনিয়া থানার পুলিশ এ ব্যাপারে একটি মামলা গ্রহণ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ অভিযুক্তদের এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তারের সংবাদ নেই৷
উল্লেখ্য শুধুমাত্র আমজাদ নগর সীমান্ত দিয়ে নয়, সোনামুড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে৷ দালাল চক্র এই সব এলাকায় সক্রিয় রয়েছে৷ স্থানীয় জনগণ প্রতিবাদ জানালে তাদের উপর হামলা ঘটনা সংগঠিত হচ্ছে৷ বিলোনিয়ার আমজাদ নগর সীমান্তের ঘটনা তারই প্রমাণ বহন করে চলেছে৷করুণা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতিতেও যদি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করা না যায় তাহলে পরিণতি আরো ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করার আশঙ্কা রয়েছে৷
এইসব অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে বিএসএফের সঙ্গে দালালদের যোগাযোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে৷ বিএসএফ জওয়ানরা ব্যাপক সংখ্যায় করুনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এ থেকে কোনো ধরনের শিক্ষা নিচ্ছে না বলে জানের জনগণের অভিযোগ৷