গুয়াহাটি, ১৮ মে (হি.স.) : মহামারি কোভিড-১৯ সৃষ্ট অসমের সাম্প্ৰতিক পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা। রাজ্যে কোভিড-১৯ সংক্ৰমণ নিয়ে উদ্বেগ প্ৰকাশ করে তিনি বলেন, ভিন রাজ্য থেকে আগতদের কোয়ারেন্টাইন কতটা সফল হচ্ছে তার ওপর রাজ্যের ভবিষ্যত নির্ভর করছে।
এদিন তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূৰ্ণ বিষয়ের ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে কেন্দ্ৰীয় সরকারের ২০ লক্ষ কোটি টাকার সাহায্যে পরিযায়ী শ্ৰমিকরা কীভাবে উপকৃত হবেন। মহামারির সময় সরকারের এই বৃহৎ পরিমাণের অৰ্থ সাহায্যের জন্য তিনি কেন্দ্ৰীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানান। পরিযায়ী শ্ৰমিকদের রাজ্যে ফিরে আসার পর হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। তাঁদের এমজিএনরেগার মাধ্যমে কৰ্মসংস্থাপনের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান। ভিন রাজ্য ফেরত শ্ৰমিকরা তিন মাস পৰ্যন্ত খাদ্য সামগ্ৰী সরকারের তরফ থেকে পাবেন। এছাড়া অতিরিক্ত ৫ কেজি করে চাল তাঁদের দেওয়া হবে। এনরেগায় কৰ্মরত শ্ৰমিকরা আগে ১৮২ টাকা পেতেন, এখন ২০ টাকা বেশি করে যোগ হয়ে ২০২ টাকা করে পাবেন। লকডাউনের সময় তিন মাসের জন্য প্ৰত্যেক মাসে ৫০০ টাকা করে মোট ১৫০০ টাকা করে অসমের মোট ১ কোটি মহিলার জনধন যোজনার অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে। এর ফলে সরকারের ভাঁড়ার থেকে ১,৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে। মন্ত্রী জানান, ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ফের নতুন করে শুরু করতে ব্যাঙ্ক থেকে ১০ হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে।
গত দুমাস ধরে লকডাউনের জেরে রাজ্যের বেশিরভাগ উপভোক্তা বিদ্যুতের মাশুল না দেওয়ার ফলে অসম রাজ্য বিদ্যুৎ পৰ্ষদ আৰ্থিক সংকটে ভুগছে বলে তিনি জানান। তবে কেন্দ্ৰীয় সরকারের আৰ্থিক সাহায্যের প্যাকেজে রাজ্য বিদ্যুৎ পৰ্ষদ বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিকে বকেয়া টাকা দিয়ে দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে রাজ্যবাসী বিদ্যুৎ পরিষেবাও নিরন্তর পেতে পারবেন বলে মন্ত্রী ড. শর্মা জানান।
প্ৰসঙ্গক্ৰমে তিনি বলেন, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার সাহায্য না করলে অসমের মানুষকে অন্ধকারে থাকতে হতো। গ্ৰাহকরা দুমাস ধরে বিদ্যুতের মাশুল না দেওয়ার ফলে অসম রাজ্য বিদ্যুৎ পৰ্ষদ এনএইচপিসি, এনটিপিসি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোকে টাকা দিতে পারছিল না। তবে এক্ষেত্ৰে কেন্দ্ৰীয় সরকারের আৰ্থিক প্যাকেজের সাহায্যে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোকে বকেয়া টাকা দেওয়া হয়েছে। তা না হলে রাজ্য জুড়ে লোডশেডিং হতো।
অন্যদিকে, কেন্দ্ৰীয় সরকারের নতুন করে নির্ধারিত ক্ষুদ্ৰ, মধ্যম এবং লঘু শিল্পগুলি বেজায় উপকৃত হবে। এতে অসমের ৬৪ হাজার ক্ষুদ্ৰ শিল্প কোনওধরনের বন্ধক (মৰ্টগ্যাজ) ছাড়াই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা।