যোরহাট, (অসম), ১৬ মে (হি.স.) : অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অভিজিৎ শৰ্মার আত্মহত্যাজনিত ঘটনার তদন্ত চাইলেন মৃতের স্ত্ৰী। স্ত্ৰী তাঁর স্বামীর মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে যোরহাটের লিচুবাড়ি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। শুধু তা-ই নয়, অধ্যাপকের স্ত্ৰী দাবি করেছেন, তাঁর স্বামী অভিজিৎ কারও প্ররোচনায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
এই এজাহারের ভিত্তিতে যোরহাট থানার পুলিশ ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০৬ (আত্মহত্যার জন্য প্ৰরোচিত করা) ধারায় ৮৯৯/২০২০ নম্বরে এক মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
অধ্যাপক অভিজিৎ শৰ্মাকে গত মঙ্গলবার (১২ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাঁর শস্যবিজ্ঞান (অ্যাগ্ৰোনমি) বিভাগের নিজস্ব কাৰ্যালয়ে গলায় ফাঁস জড়িয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। তার একদিন আগে তাঁকে তিতাবরের রিজওনাল অ্যাগ্ৰিকালচারাল রিসাৰ্চ স্টেশনে বদলি করা হয়েছিল। জানা গেছে, আত্মহত্যা করার আগে অধ্যাপক অভিজিৎ একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছেন। এতে তাঁর কৰ্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো আবাসের ১৫ ইউনিটের আবাসিক অধ্যাপক শৰ্মা ঘটনার দিন সকাল ৮.০০টায় তার বিভাগীয় কাৰ্যালয়ে এসে আত্মহত্যা করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মৃত্যুকালে অভিজিৎ শৰ্মা পত্নী সহ দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠরা বলছেন, অভিজিৎবাবু আত্মহত্যা করার মতো ব্যক্তি ছিলেন না। তিনি একজন জীবনবোধসম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন। কয়েকদিন আগে তিনি একটি নতুন গাড়ি কিনেছেন। এমতাবস্থায় কী কারণে আচমকা আত্মহত্যার মতো পথ তিনি বেছে নিয়েছেন তা ভাবতে পারছেন না কেউ। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বসুলভ সম্পৰ্ক ছিল তাঁর, বলছেন অনেকে।
অভিজিৎ শৰ্মা একজন মেধাবী ব্যক্তি ছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর লেখা কষ়েকটি বইও প্ৰকাশিত হয়েছে। অ্যাকাডেমিক বিষয়ে তিনি কখনও আপস করতেন না।