রাজ্যের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সহযোগিতা করছে না, আক্ষেপ মন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ মে৷৷ করোনা-র প্রকোপে লকডাউন-এ পশ্চিমবঙ্গে ত্রিপুরার প্রচুর নাগরিক আটকে রয়েছেন৷ কিন্তু, তাঁদের ত্রিপুরায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোন সহযোগিতা করছে না৷ আজ সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষোভের সুরে এ-কথা বলেন ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ৷


এদিন তিনি বলেন, বহিঃরাজ্যে ৩৯,৭৯৯ জন আটকে রয়েছেন৷ তাঁরা ত্রিপুরা সরকারের পোর্টাল-এ নাম নথিভুক্ত করেছেন৷ এ-বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, কর্ণাটক-এ ১২,৯০০ জন ত্রিপুরার নাগরিক আটকে রয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে ১১৬০ জন-কে নিয়ে একটি ট্রেন আগামীকাল সকাল ১১টায় ত্রিপুরায় পৌছাবে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, আগামী ১৪ কিংবা ১৫ মে আরও একটি ট্রেন কর্ণাটক থেকে ত্রিপুরার নাগরিক-দের নিয়ে আসবে৷


তিনি জানান, তামিলনাড়ু-তে ৮৭৭১ জন ত্রিপুরার নাগরিক আটকে রয়েছেন৷ তাঁদের আনার জন্য ট্রেন-র ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যে ১৮০ জন সড়কপথে রওয়ানা দিয়েছে৷ তাদের প্রয়োজনীয় পাস দেওয়া হয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, তেলেঙ্গানায় ১১৩২ জন ত্রিপুরার নাগরিকদের জন্য আন্তঃরাজ্য পাস-র ব্যবস্থায় লিখিতভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে৷ তেমনি, মহারাষ্ট্রে ২৭২০ জন-কে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ তাঁর দাবি, ৩টি বাস ও কয়েকটি বেসরকারি গাড়িতে বেশ কিছু মানুষ রওয়ানা দিয়েছেন৷ বাকি, কিছু মানুষ-কে পুণে থেকে মুম্বাই নেওয়া হচ্ছে৷ কারণ, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ট্রেন পরিষেবায় মুম্বাই থেকে রওয়ানা দিতে হবে৷ তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, চলতি সপ্তাহেই মুম্বাই থেকে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে ট্রেন ছাড়বে৷


কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ত্রিপুরার নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কোন সহযোগিতা করছে না বলে তিনি আক্ষেপ করেন৷ শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, পশ্চিমবঙ্গে ৯২৪২ জন ত্রিপুরার নাগরিক আটকে রয়েছেন৷ কিন্তু, তাঁদের ট্রেন-এ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ওই রাজ্যের সরকার এখনো অনুমতি দেয়নি৷ এমনকি, ২০৩৬টি এ-পাস দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল৷ তার মধ্যে ১৬২ জন রওয়ানা দিয়েছেন৷ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অন্য রাজ্যের সরকার সম্পর্কে মন্তব্য করা উচিত নয়৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার ত্রিপুরার নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য কোন সহযোগিতা করছে না৷ বহুবার অনুরোধ করার পর সামান্য পাস-র ব্যবস্থা করছে৷