নয়াদিল্লি, ১২ মে (হি. স.) : করোনা পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্ববাসী ভারতের দিকে চেয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া নিজের ভাষণে বিশ্বের মঙ্গলে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের মাধ্যমে বিশ্বকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে ভারত। জীবন ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী স্থানে দাঁড়িয়ে গোটা বিশ্ব যখন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে তখন তারা ভারতের ওষুধ ব্যবহার করছে। সেই জন্য পৃথিবীবাসী ভারতের প্রশংসা করছে। ভারতের ভাবনায় বিশ্ব অপরিহার্য অঙ্গ। বিশ্বের কল্যাণী ভারতের কর্তব্য ও লক্ষ্য। স্বচ্ছ ভারত অভিযানে যখন ভারতের ছবিটা পাল্টে যায় তখন আদতে বিশ্বের ছবি পাল্টে যায়। যক্ষা, অনাহার, পোলিও দূরীকরণ অভিযান যখন ভারত নিয়েছিল তখন তাতে বিশ্ব সাড়া পড়ে গিয়েছিল। দূষণ রোধে ইন্টারন্যাশনাল সোলার এলাইন্স আন্তর্জাতিক সৌর জোট বিশ্বকে উপহার দিয়েছে ভারত ভারতের আত্মনির্ভরতার কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আত্মনির্ভরতার অর্থ আত্মকেন্দ্রিকতা নয় এখানে আত্মকেন্দ্রিকতার অর্থ হচ্ছে বিশ্ববাসীর সুখ, সহযোগিতা, শান্তি, সংস্কৃতি ও বিশ্বকে নিজের পরিবার হিসেবে মনে করা। পৃথিবী যে মা সেটা ভারতের সংস্কৃতিতেই রয়েছে।ভারত এক সমৃদ্ধ বিশ্বের স্বপ্ন দেখে চলেছে।
করোনা মোকাবিলায় ভারতের পরিকাঠামোগত উন্নতির কথা ব্যক্ত করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রতিদিন দু লক্ষ পিপিই এবং এন-৯৫ মাস্ক তৈরি করছে ভারত। রাষ্ট্র হিসেবে ভারত গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যেখানে তার নিজের স্বপ্নকে পূরণ করতেই হবে। স্বপ্ন হলো একবিংশ শতাব্দী কান্ডারী হয়ে ওঠা। পরিস্থিতি অবলোকন করে ভারতকে আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে হবে। একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে যখন গোটা বিশ্ব ওয়াই টু কে আতঙ্কে ভুগছিল তখন ভারত সেখান থেকে গোটা বিশ্বকে উদ্ধার করেছিল। আগামী দিনে ভারতের লোকাল বা স্থানীয় পণ্যই বিশ্বব্যাপী বাজারে ছড়িয়ে পড়বে তার জন্য দেশবাসীকে সদর্থক ভূমিকা পালন করতে হবে। এই উন্নয়নের গতিধারা অবরুদ্ধ করলে চলবে না। দেশবাসীকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে ভারতীয় রাজ্যের চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখিয়েছে তা প্রশংসনীয়।কোনও ভাবেই হাল ছাড়লে, ভেঙে পড়লে, হার মেনে নিলে চলবে না।