নিজস্ব প্রতিনিধি, বিলোনীয়া, ৬ মে৷৷ রাজ্যে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা, গোমতি এবং সিপাহিজলা জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ ঝড়ের তাণ্ডবে এক মহিলার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে৷ আরও তিনজন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন৷ বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে৷ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত৷ প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ শুরু করেছে৷ প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আপৎকালীন সাহায্যের উদ্যোগ নিয়েছে৷
বুধবার সকালে ত্রিপুরার বিভিন্ন স্থানে ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয়৷ সকাল থেকেই কালো মেঘে আকাশের মুখ ভার ছিল৷ হঠাৎ শুরু হয় ঝড়, সাথে বৃষ্টি৷ এদিন সকালে রাজধানী আগরতলা শহর এবং শহরতলি এলাকায়ও ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে৷ ঝড়ের তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা, গোমতি এবং সিপাহিজলা জেলা৷ দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার ঋষ্যমুখ, বিলোনিয়া ভারতচন্দ্র নগর, রাজনগর এবং জোলাইবাড়িতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে৷ গোমতি জেলার কাকরাবন, মাতাবাড়ি, টেপানিয়া, অমরপুরে ঝড়ে ভীষণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ সিপাহিজলা জেলার কাঠালিয়া, সোনামুড়া এবং নলছর এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক৷
বিলোনিয়ার মতাই-এর হরিপুর এলাকায় ঝড়ের তাণ্ডবে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে এক মহিলার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে৷ মৃত মহিলার নাম জ্যোতিরানি দাস৷ প্রশাসনের তরফ থেকে মৃত মহিলার নিকট আত্মীয়কে আপাতত ৫০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছে৷ তাছাড়া ঝড়ের তাণ্ডবে আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর মিলেছে৷
এদিনের ঝড়ে দক্ষিণ জেলায় ৮টি বাড়ি সম্পূর্ণ, ১টি মারাত্মক এবং ২৪টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ তেমনি সিপাহিজলা জেলায় ১টি বাড়ি সম্পূর্ণ, ২টি মারাত্মক এবং ১১টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ গোমতি জেলায় সবচেয়ে বেশি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ ওই জেলায় ৮টি বাড়ি সম্পূর্ণ, ১৬টি মারাত্মক এবং ১৪৯টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ সবমিলিয়ে তিন জেলায় ৪২টি গ্রামে ঝড়ের ভয়ঙ্কর তাণ্ডব দেখা গিয়েছে৷

