নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ মে৷৷ ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্ত বিএসএফ জওয়ানদের সংস্পর্শে ছিলেন এমন অনেকেরই কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ কিন্তু, শঙ্কার মেঘ এখনও কাটেনি৷ কারণ, এখনও আরও অনেকেরই রিপোর্ট আসা বাকি৷
শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ধলাই জেলা হাসপাতালে ৫৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং চারজন রোগীর কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ ওই হাসপাতালেই বিএসএফ-এর প্রথম করোনা আক্রান্ত জওয়ান পেটে ব্যথা নিয়ে গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতাল থেকে এসে ভরতি হয়েছিলেন৷ তিনি যে ওয়ার্ডে ভরতি ছিলেন একই ওয়ার্ডের অন্য চার রোগীর কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ তাছাড়া, ৫৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীর কোভিড-১৯ রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে৷
এদিকে, গন্ডাছড়া হাসপাতালে ১৩ জনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ আরও ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা চলছে৷ শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, নালকাটায় অবস্থিত বিএসএফ ক্যাম্পের ৩ জওয়ানের কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ তাঁরা আমবাসায় জহরনগরস্থিত বিএসএফ-এর ১৩৮ নম্বর ব্যাটালিয়ন মুখ্য কার্যালয়ে গিয়েছিলেন এবং আক্রান্ত জওয়ানের সংস্পর্শে ছিলেন৷ তাই তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷
এদিন তিনি আরও জানান, গন্ডাছড়ায় বিএসএফ-এর করিনা বিওপি-তে তিনজনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ আরও ১২ জনের নমুনা পরীক্ষা বাকি রয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, জওহরনগর মুখ্য কার্যালয়েই বিএসএফ-এর আরও ৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা বাকি৷ তাছাড়া, মুখ্য কার্যালয়ের আশপাশের ২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷ তাঁদেরও নমুনা পরীক্ষা বাকি৷
এদিকে, ত্রিপুরায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১৩ জনকে আজ (মঙ্গলবার) আগরতলার জিবি হাসপাতালে কোভিড-১৯ কেন্দ্রে আনা হয়েছে৷ তারা সকলেই ধলাই জেলা সদর আমবাসায় জহরনগরস্থিত বিএসএফ ১৩৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের মুখ্য কার্যালয়ে ছিলেন৷ গতকাল তাঁদের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল৷ তাঁদের মধ্যে দুই শিশু, এক মহিলা ও ১১ জন জওয়ান রয়েছেন৷ আজ দুপুরের মধ্যেই সকলকে জিবি হাসপাতালে আনা হয়েছে৷ স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকের কথায়, তাঁরা সকলেই সুস্থ আছেন৷
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় বর্তমানে ২৯ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে৷ তাঁদের মধ্যে ২ জন সুস্থ হয়েছেনঊ বাকি ২৭ জন এখন চিকিৎসাধীন৷ ওই ২৭ জনই বিএসএফ জওয়ান ও তাঁদের পরিবারের সদস্য৷ এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, ওই ২৭ জনের মধ্যে ২৪ জন জওয়ান৷
গতকাল রাতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব নতুন করে করোনা আক্রান্তের ঘোষণার সাথে সাথেই রাজ্য জুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে৷ ধলাই জেলা প্রায় শুনশান হয়ে গেছেঊ উপজাতি অধ্যুষিত ওই জেলায় অতীতেও মহামারির প্রকোপ দেখা দিয়েছেল৷ ম্যালেরিয়া-র থাবায় শতাধিক গিরিবাসী প্রাণ হারিয়েছিলেন৷ ফলে ধলাই জেলাতেই ফের করোনা-র প্রকোপ চিন্তা বাড়িয়েছে৷ ত্রিপুরা সরকার করোনা আক্রান্তদের নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত নয়, তাই করোনা আক্রান্তদের আগরতলায় আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷