নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ এপ্রিল৷৷ বহিঃরাজ্য থেকে আগত ত্রিপুরার নাগরিকদের নিয়ে ভীষণ চিন্তায় পড়েছে ত্রিপুরা সরকার৷ কারণ, বহিঃরাজ্য থেকে আসা এক অ্যাম্বুলেন্স চালক করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন৷ তাই, বাড়তি সতর্কতা হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ আধিকারিকরা সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করছেন৷ এ-বিষয়ে আজ সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, জননিরাপত্তা সবচেয়ে প্রাধান্যের বিষয়৷ তাই, বহিঃরাজ্যে যাঁরা আটকে রয়েছেন তাঁদের পাশাপাশি ত্রিপুরায় এখন যাঁরা বসবাস করছেন তাঁদেরও সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে৷ তাই স্বাস্থ্য দফতর দিশা খুঁজতে বৈঠকে বসেছে৷
মন্ত্রী বলেন, বহিঃরাজ্য থেকে ত্রিপুরার নাগরিকদের সাথে একজন করোনা আক্রান্ত রাজ্য ঘুরে গেছেন৷ ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ তাঁর কথায়, আন্তঃরাজ্য যাতায়াত শুরু হয়েছে৷ প্রয়োজনীয় পাস নিয়ে বহিঃরাজ্যে আটকে থাকা ত্রিপুরার নাগরিকরা রাজ্যে ফিরছেন৷ কিন্তু ত্রিপুরায় প্রবেশের পর তাঁদের কোথায় কোয়ারেন্টাইন করা হবে, কীভাবে রাখা হবে, কতদিন রাখতে হবে সমস্ত বিষয় নিয়ে ৮ জেলার জেলাশাসকদের সাথে স্বাস্থ্য দফতর বৈঠক করছে৷ তাঁর বক্তব্য, চোরাইবাড়ি এবং ধর্মনগরে বহিঃরাজ্য থেকে আগত ত্রিপুরার নাগরিকদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে৷
শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, বাড়িতে ফেরার জন্য ত্রিপুরার নাগরিকরা ব্যাকুল হয়ে রয়েছেন৷ তাঁদের প্রতি ত্রিপুরা সরকার যথেষ্ট সহানুভূতিশীল৷ তাই বহিঃরাজ্যে আটকাধীন ত্রিপুরার নাগরিকরা সাহায্য চেয়েছেন৷ এখন পর্যন্ত তাঁদের ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, তাঁদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে৷ সাথে ত্রিপুরায় এখন যাঁরা বসবাস করছেন তাঁদেরও সুরক্ষিত রাখা আমাদের সুনিশ্চিত করতে হবে৷ তাই ওই সমস্যার সমাধানে স্বাস্থ্য দফতর পথ খুঁজে বের করতে চাইছে৷ তিনি বলেন, গত ১০ দিনে ত্রিপুরার বাইরে থেকে এসেছেন এমন পণ্যবাহী ট্রাক সহ ৩,৬৭৮টি গাড়ি স্ক্রিনিং করা হয়েছে৷ তাতে ট্রাক ৩,৩৮৮টি এবং যাত্রীবাহী গাড়ি ৩৯০টি রয়েছে৷ তাছাড়া ৩১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷