আগরতলা, ২৯ এপ্রিল (হি.স.): ৷৷ ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলি এই ভাইরাসের বংশ এখনও চিহ্ণিত করতে পারেনি৷ লকডাউন সমাপ্ত হওয়ার পর তা সম্ভব হবে৷ করোনা আক্রান্তের নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে৷ লকডাউন সমাপ্ত হওয়ার পর সেই সব নমুনা এনআইবি পুণেতে পাঠানো হবে৷ তার পর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে করোনা সংক্রমনের বংশ পরিচয় মিলবে৷ শুধু তা-ই নয়, এই ভাইরাসের শ্রেণি বিন্যাসও খুঁজে বের করা হবে৷
সম্প্রতি, পশ্চিমবঙ্গের কল্যানীস্থিত এনআইবিএমজি করোনা ভাইরাসের ১১টি বংশের ৩৫টি বিন্যাস চিহ্ণিত করেছে৷ তাতে সবচেয়ে দ্রুত বিস্তার করছে করোনা-র ‘২ত্থ’ যার উৎপত্তি ইউরোপ ইরানে৷ এনআইবিএমজি ৫৫টি দেশের ৩,৬৩৬টি নমুনার গবেষণা করেছে৷ তাতে, ৫৫ শতাংশ করোনা-র ‘২ত্থ’ বংশের ভাইরাস হিসেবে চিহ্ণিত হয়েছে৷ তবে, ভারতে করোনা-র প্রথম আক্রান্ত ভাইরাসের ‘ঞ্জ ন্ঠাদ্মত্র’ বংশের ছিলঊ যার উৎপত্তি ছিল চিন৷
ত্রিপুরার বরিষ্ঠ মাইক্রোবায়োলজিস্ট বলেন, করোনা-র বংশ পরিচয় খুঁজে বের করবে এনআইবি পুণে৷ লকডাউন সমাপ্ত হলে সংগৃহীত নমুনা সেখানে পাঠানো হবে এবং করোনা-র বংশ পরিচয় খুঁজে বের করার সাথে বিন্যাস নিয়েও গবেষণা করবে এনআইবি পুণে৷ তাঁর দাবি, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের করোনা আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করে সুরক্ষিতভাবে রাখা হয়েছে৷ এনআইবি-র নির্দেশিকা মেনে বিশেষ ফ্রিজে যার তাপমাত্রা মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে ওই নমুনা রাখা হয়েছে৷ তাঁর বক্তব্য, এনআইবি প্রটোকল অনুসারে ওই তাপমাত্রায় ভাইরাসে কোনও প্রভাব পড়বে না এবং ভাইরাস অনেকদিন জীবিত থাকবে৷ তাঁর দাবি, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সমস্ত রাজ্য এই পন্থা অবলম্বন করেছে৷ কারণ, এছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই৷
তাঁর কথায়, ভবিষ্যতে করোনা-র সঠিক চিকিৎসায় এবং রোগ নিরাময়ে ভাইরাসের বংশ পরিচয় ও বিন্যাস খুঁজে বের করা খুবই জরুরি৷ কারণ, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ওই মারণ ব্যাধি কতটা মারাত্মক তা জানার প্রয়োজনীয়তা উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ গোটা দেশেই ওই কাজ জোর কদমে চলছে৷