শিলং (মেঘালয়), ২৯ এপ্রিল (হি.স.) : মেঘালয়ের রাজধানী শিলং এবং নংপোতে অবস্থিত বেথানি হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. জনএল সাইলো রাইন্টাথিয়াং মহামারি কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্ৰান্ত হয়ে গত ১৪ এপ্রিল রাত ২:৩০ মিনিটে মারা গিয়েছেন। তার পর তাঁর ১৬ জন আত্মীয়স্বজনের শরীরেও কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে। তাঁদের সবাইকে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা চালছিল। আজ তাঁদের মধ্যে ৮ জনের লালারসের নমুনা ফের পরীক্ষা করা হয়। বুধবার সকলেরই স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোৰ্ট নেগেটিভ এসেছে। জানিয়েছেন মেঘালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্ৰী।
গতকালই স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী এএল হেক জানিয়েছিলেন, এ মুহূৰ্তে রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্ৰমণ যাতে আর না ছড়ায় সেদিকে মনোনিবেশ করেছে তাঁদের সরকার। এক্ষেত্ৰে মেঘালয় সরকার একটি নিৰ্দিষ্ট মাত্ৰায় সাফল্যও পেয়েছে। গতকালই তিনি কোভিড আক্ৰান্ত ১১ জন ক্ৰমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানিয়েছিলেন। ১১ জনের মধ্যে ৩ জনের করোনা কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসা চলছে। এবার বাকি আটজনের নমুনার রিপোৰ্ট নেগেটিভ আসায় স্বাভাবিকভাবেই অনেকটা স্বস্তি পেয়েছে মেঘালয় সরকার।
মন্ত্রী হেক আরও জানান, ইতিমধ্যেই মেঘালয়ের ১,৩৮২ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ১,২০২ জনের রিপোৰ্ট নেগেটিভ এসেছে। ১৬৮টির রিপোৰ্ট আসার অপেক্ষায়। এছাড়া অতিমারি কোভিড-১৯-এর সঙ্গে মোকাবিলা করতে বৰ্তমানে মেঘালয় সরকারের কাছে ১ লক্ষ ৯২৬টি পার্সনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) কিট, ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৮২৬ এন-৯৫ মাস্ক, ৫ লক্ষ ১০ হাজার তিন স্তরীয় মাস্ক এবং ৬,০৫০টি ভাইরাল ট্ৰান্সপোৰ্ট মিডিয়াম (ভিটিএমএস) রয়েছে, জানান এএলহেক।
প্ৰসঙ্গক্ৰমে জানান, বৰ্তমানে রাজ্যে ৬,৫০৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ৩১২ জন প্ৰাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে। হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থানকারীদের ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কৰ্মীর দল নিয়মিত দেখাশোনা করে প্ৰয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে চলেছেন। এখন পৰ্যন্ত ১৫০টি বাড়িতে গিয়ে ডাক্তারের দল রোগীদের দেখে এসেছেন। রোগীদের দেখাশোনা করতে পূৰ্ব খাসিপাহাড় জেলা প্ৰশাসন ৪৮টিরও বেশি ডাক্তারের দল গঠন করে দিয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।