নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ এপ্রিল৷৷ সাতসকালে বাড়ির পাশেই কুয়োতে পঞ্চাশোর্ধ মহিলার পঁচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে৷ ওই ঘটনায় পুলিশ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে৷ মহিলাকে খুন করার বিষয়টি তারা পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছে৷ মৃতার পরিবারের অভিযোগে ধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু হয়েছে৷
সিপাহিজলা জেলার বিশালগড় থানাধীন মুড়াবাড়ি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কৃষ্ণা দাস (৫৫) গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন৷ পরিবারের তরফে বিষয়টি পুলিশে জানানো হয়েছিল৷ কিন্ত লিখিতভাবে কোনও অবিযাগ দায়ের করা হয়নি৷ আজ সোমবার সকালে মৃতার পুত্রবধূ সুমিত্রা দাস বিশালগড় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন৷ তার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিখোঁজ মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷
পুলিশ জানিয়েছে, কৃষ্ণা দাসকে খুনের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দা সুমন দাস এবং চড়িলামের বাসিন্দা চন্দন দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
এ-বিষয়ে স্থানীয় জনগণের বক্তব্য, সকালে দুজনের বাকবিতণ্ডাকে ঘিরে সন্দেহ হয়৷ কারণ, কৃষ্ণা দাসকে খুনের ঘটনায় দুজন একে অপরকে দোষারোপ করছিল৷ তখনই সন্দেহ হওয়ায় তাদের আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়ে গাছের সাথে বেধে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়৷
পুলিশ জানিয়েছে, কৃষ্ণা দাস তাঁর বাড়িতে একাই থাকতেন৷ বিশালগড় পুর পরিষদে তিনি সাফাই কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন৷ এ ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৭৬ (বি), ২০১ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে৷ মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে৷
এদিকে, মৃতার ছেলে সুজিত দাস ওই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল কিনা তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে৷ কারণ, সে তার মা-কে হুমকি দিয়েছিল৷ বর্তমানে সে নিজের বাবা-র খুনের মামলায় পলাতক৷