গুয়াহাটি, ২৫ এপ্রিল (হি.স.) : বরিষ্ঠ রাজনীতিবিদ, অসমের দুই মেয়াদের মন্ত্রী, বিহার, ত্ৰিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গের প্ৰাক্তন রাজ্যপাল দেবানন্দ কোঁওরের জীবনাবসান ঘটেছে। বাৰ্ধক্যজনিত রোগভোগের পর শনিবার ভোররাত তিনটে নাগাদ গুয়াহাটির রুক্মিণীনগরে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস করেছেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ দেবানন্দ কোঁওরের প্রয়াণে শোক ব্যক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরা প্রমুখ অনেকে।
ছাত্রনেতা থেকে ১৯৫৫ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্ৰেসে যোগদান করেন। ১৯৯১ সালে অসমে হিতেশ্বর শইকিয়া ক্যাবিনেট সদস্য হিসেবে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন দেবানন্দ কোঁওর। পরবর্তীতে ২০২১ সালে তরুণ গগৈ সরকারের আমলেও ক্যাবিনেট মন্ত্ৰী ছিলেন তিনি।
সক্ৰিয় রাজনীতিতে অংশগ্ৰহণ করার আগে প্রয়াত কোঁওর কটন কলেজে ইংরেজি বিভাগের লেকচারার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। পরবৰ্তীতে ১৯৬১ সালে সাত বছর তিনি তদানীন্তন বোম্বে (অধুনা মুম্বাই)-ভিত্তিক আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড ভ্যাকুয়াম অয়েল কোম্পানির মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কর্মসম্পাদন করেছেন। বোম্বে থেকে ফিরে ১৯৬৮-৬৯ শিক্ষাবৰ্ষে গুয়াহাটিতে একটি ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন, নাম দিয়েছিলেন গুয়াহাটি কলেজ। তিনি ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। এর পাশাপাশি ১৯৬৯ সালে তিনি গুয়াহাটি উচ্চ আদালতে আইনজীবী হিসেবে যোগদান করে ১৯৯১ সাল পর্ষন্ত পরিষেবা দিয়েছেন। মূলত তিনি আসাম, ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ এবং মিজোরামের সরকারি আইনজীবী হিসেবে কাজ করে গেছেন।
১৯৮৮ সালে মস্কো, তাসখেন্ত, আলমা-আটা, কিয়েব, সোচি, লেনিনগ্রাডে অনুষ্ঠিত ফ্রেন্ডস অব সোভিয়েত ইউনিয়ন ডেলিগেশনের জন্য দেবানন্দ কোঁওরকে আসাম, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাডুকে নিয়ে গঠিত ২৮ সদস্য-বিশিষ্ট দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বাছাই করা হয়েছিল।
২০০৯ সালে দেবানন্দ কোঁওরকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে নিয়োগ করা হয়। ছিলেন ২০১০ সালের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। এর পর যথাক্রমে বিভিন্ন মেয়াদে বিহার এবং সব শেষে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরার রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলেছেন প্রয়াত কোঁওর।