নয়াদিল্লি, ২৫ এপ্রিল (হি. স.): রাজধানী দিল্লির নির্মাণ ভবনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: হর্ষবর্ধনের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত। যে সকল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।তারা হলেন অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হারদীপ সিংহ পুরী, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে সহ প্রমুখ ।
করোনা মোকাবিলায় এখনও পর্যন্ত কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং প্রতিরোধে কি অগ্রগতি হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। মন্ত্রীদের জানানো হয়েছে যে দেশজুড়ে প্রতিটি হাসপাতলে পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট, এন ৯৫, ভেন্টিলেটর, ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশীয় উদ্যোগপতিদের চিহ্নিত করে তাদেরকে দিয়ে এগুলো তৈরি করা হচ্ছে।এখন প্রতিদিন এক লক্ষ পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট এবং মাস্ক তৈরি করা হচ্ছে। দেশে নির্মিত হচ্ছে ভেন্টিলেটর। এমনকি ৯ টি কোম্পানিকে চিহ্নিত করে ৫৯ হাজার ভেন্টিলেটর তৈরীর কাজ চলছে। করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য গোটা দেশে ১.২৪ কোটি স্বেচ্ছাসেবক কাজ করে চলেছে। এরমধ্যে এন সি সি ও এন এস এস রয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: হর্ষবর্ধন করোনা প্রতিটি স্টেকহোল্ডারের ভূমিকাকে প্রশংসা করেছেন। করোনা রোগীদের নিয়ে সমাজে যাতে কুসংস্কার না ছড়ায় সেই দিকটিও লক্ষ রাখতে হবে।অনেক স্বাস্থ্য কর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে। এমনটা যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ।