নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ এপ্রিল৷৷ ত্রিপুরায় করোনা স্পর্শকাতর এলাকায় আজ রেপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট দিয়ে পরীক্ষা হয়েছে৷ উদয়পুর, সাতনালা এবং দামছড়া থেকে প্রায় ৬০০ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য দিয়েছেন মন্ত্রী রতনলাল নাথ৷ তিনি জানান, ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন৷ আজ তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী উদয়পুরের বাসিন্দা এবং দ্বিতীয় রোগী টিএসআর জওয়ান সাতনালা এবং দামছড়া ক্যাম্পে গিয়েছিলেন৷ তাই ওই তিনটি স্থানকে ত্রিপুরায় করোনা স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে৷ করোনা আক্রান্ত রোগী যেখানে ছিলেন তার ১ কিমি-এর মধ্যে সকলের রেপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট দিয়ে পরীক্ষা করা হবে৷
এ-বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় ৩,৮৪০টি রেপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট এসেছে৷ তার মধ্যে ৩,৭০০টি কিট বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়েছে৷ তাঁর কথায়, সারা ত্রিপুরায় ১৫০টি নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র খোলা হয়েছে৷ তাতে, ল্যাব টেকনিশিয়ান এবং মেডিক্যাল অফিসার সহ ৩৩০ জন স্বাস্থ্যকর্মীর নিযুক্তি হয়েছে৷ তাঁর দাবি, ওই স্বাস্থ্য কর্মীরাই রেপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট দিয়ে পরীক্ষা করবেন৷
এদিন তিনি আরও জানান, ত্রিপুরায় আশাকর্মীরা গত ১০ দিনে ৩,২০০ জন ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগী চিহ্ণিত করেছেন৷ তাঁদের সকলের পরীক্ষা করা হবে৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজ থেকে রেপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে৷ উদয়পুর, সাতনালা এবং দামছড়া করোনা স্পর্শকাতর এলাকায় ওই কিট দিয়ে ৬০০ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে৷