নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ এপ্রিল৷৷ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে৷ মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে আজ মহাকরণের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, রাজ্যের উৎপাদিত ফসল বিশেষ করে আনারস এবং সুুগন্ধি লেবু বহির্রাজ্যে রপ্তানির জন্য পাইলট প্রকল্প হিসেবে এখন থেকে রেলের রেফ্রিজারেটেড পারসেল ভ্যানে পাঠানোর জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷
এক্ষেত্রে কাঞ্চনঝঙ্ঘা এবং ত্রিপুরাসুুন্দরী এক্সপ্রেসকে ব্যবহার করা হবে৷ এ বাবদ কাঞ্চনঝঙ্ঘা ট্রেন শিয়ালদহ যাবে তারজন্য সরকারের ব্যয় হবে ১ লক্ষ ৮ হাজার ২৩৩ টাকা এবং দিল্লি যাওয়া ত্রিপুরাসুুন্দরী এক্সপ্রেস বাদে খরচ হবে ১ লক্ষ ৪৬ হাজরা টাকা৷ রেফ্রিজারেটেড পারসেল ভ্যানগুলি ১৭ মেট্রিকটন পর্যন্ত বহন করতে পারবে৷ পূর্বে কৃষিজাত এই ফসলগুলি পরিবহণের জন্য মূলত এয়ার কার্গো এবং স্থল পরিবহণ ব্যবহার করা হতো৷ এতে ব্যয় বেশি হতো৷ অনুমোদিত এই পাইলট প্রকল্প গ্রহণের ফলে কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের বিক্রির পরিমাণ বাড়বে এবং কৃষকরাও উপকৃত হবেন৷ খরচও এই ক্ষেত্রে কম হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কবলার (মুচি), রিক্সা শ্রমিক, মোটর শ্রমিক, লণ্ড্রি শ্রমিক, ক্ষৌরকর্মী, মৎস্যচাষী, কাঠমিস্ত্রি, ব্ল্যাকমিথ ইত্যাদি গোষ্ঠীর লোকেরা বিভিন্ন ভাতা পাচ্ছেন৷ কিন্তু এই গোষ্ঠীগুলির মধ্যে থেকে এমনও ব্যক্তি রয়েছেন যারা ভাতা পাচ্ছে না অথচ গরিব৷ রাজ্য সরকার আজ মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমন ১২,০০০ জনকে চিহ্ণিত করে এককালীন এক হাজার টাকা প্রদান করার৷
সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যে ৫৪টি চা বাগান রয়েছে৷ এরমধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ৪৭টি চা বাগানে কাজ শুরু হয়েছে৷ বাকি ৭টি চা বাগানেও কাজ শুরু করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে৷ এই চা বাগানগুলিতে ১১,৩৯৩ জন শ্রমিক রয়েছেন যারা সরকারি সুুবিধার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ শুরু করেছেন৷ তিনি জানান, রাজ্যে ২৫১টি ইটভাট্টা রয়েছে৷ বর্তমানে ২২,০২৫ জন শ্রমিক এই ইটভাট্টাগুলিতে কাজ করছে৷ তবে ২০৭টি ইটভাট্টায় মরশুম শেষ হয়ে গেছে৷ বর্তমানে ৪৪টি ইটভাট্টায় কাজ চলছে৷ শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে ইণ্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের বাইরে ছোট এবং কুটিরশিল্প ইউনিট রয়েছে ৮,১৪২টি৷ এতে প্রায় ৩৪ হাজার শ্রমিক কাজ করছে৷ গ্রামীণ এলাকায় এই ছোট শিল্পগুলি চালু করার জন্য প্রয়াস নেওয়া হয়েছে৷ আগামীদিনগুলিতে রাজ্যে কোনও ধরনের সংকট যাতে না হয় সেই জন্য রাজ্য সরকার এই ব্যবস্থাগুলি নিয়েছে৷