নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ এপ্রিল৷৷ আন্তঃরাজ্য সীমান্তে প্রহরারত মিজোরাম পুলিশের সাথে ত্রিপুরার কতিপয় বাসিন্দার ঝগড়ায় দুই রাজ্যের মধ্যে অসৌজন্যতার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে৷ মিজোরাম পুলিশের দুই কর্মীকে মারধরের ঘটনায় ত্রিপুরা পুলিশ তিন জনকে আটক করেছে৷ তাদের মধ্যে একজন পালিয়ে গেছে৷ বাকি দুজন আদালতে জামিন পেয়েছেন৷ মিজোরাম পুলিশের কর্মীকে মারধরের ঘটনায় ত্রিপুরার তিন বাসিন্দার বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা সত্ত্বও একটি দুস্থ পরিবারের বসতঘরে আগুন লাগানোর ঘটনায় দুই রাজ্যের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ ত্রিপুরা পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে৷
এ-বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ত্রিপুরা পুলিশের জনৈক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, করোনা মোকাবিলায় আন্তঃরাজ্য সীমান্ত পাহারা দেওয়া হচ্ছে প্রতিদিন৷ এমন-কি লকডাউন চলাকালীন এক রাজ্যের বাসিন্দা অন্য রাজ্যে যেতে না পারেন সে-দিকেও নজর রাখা হচ্ছে৷ উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ত্রিপুরা-মিজোরাম সীমান্তে কুম্পুই এলাকায় মিজোরাম পুলিশ এবং স্থানীয় চাকমা সম্প্রদায়ের লোক প্রতিদিন পাহারা দিচ্ছেন৷ কিন্তু, সম্প্রতি তাদের মধ্যে ঝামেলা হওয়ায় ত্রিপুরার চাকমা সম্প্রদায়ের কয়েকজনের মারে মিজোরাম পুলিশের দুই কর্মী গুরুতর আহত হন৷ ওই ঘটনায় মিজোরাম পুলিশ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে৷ তাদের গ্রেফতার করে মিজোরাম পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে ত্রিপুরা পুলিশকে৷
সে-মোতাবেক ত্রিপুরা পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে৷ কিন্তু শারীরিক পরীক্ষা করার সময় একজন পালিয়ে যায়৷ বাকি দুজনকে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করে৷ কিন্ত আদালত থেকে তাদের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে৷ এদিকে কুম্পুই এলাকায় এক গরিব পরিবারের বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে৷ দুষৃকতীরা ওই বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ তবে, অভিযোগের তির মিজোরাম পুলিশের দিকেও রয়েছে৷ ফলে, মিজোরাম পুলিশের অসৌজন্যমূলক আচরণে দুই রাজ্যের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে৷