নয়াদিল্লি, ২৪ এপ্রিল (হি.স.) : করোনায় কর্মহীন দেশের ১৪ কোটি মানুষ । বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করা করোনা থাবা বসিয়েছে ভারতেও । বহুল জনসংখ্যার দেশ করোনা মোকাবিলায় বেছে নিয়েছে লকডাউনের পথ। আর এই লকডাউনে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। বহু মানুষের রুটি রুজিতে টান পড়ছে । এই অবস্থায় সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (সিএমআইই) সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতে কর্মহীন হয়েছে ১৪ কোটি মানুষ ।
বিশ্বজুড়ে করোনা অতি মহামারীর আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন মহল জানাচ্ছে করোনা মোকাবিলায় প্রধান অস্ত্র হল লকডাউন। করোনা যাতে দেশে না ছড়ায় তার জন্য ভারতে লকডাউন শুরু হয়েছে। আর লক ডাউনের ফলে একাধিক সমীক্ষায় উঠে আসছে কর্মহীন হওয়ার তথ্য। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি ( সিএমআইই) সমীক্ষা জানাচ্ছে, ১৯ এপ্রিলে শেষ সপ্তাহে ভারতের বেকারত্বের হার ২৬ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। ওই সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, লকডাউনে দেশের ১৪ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন।
গ্রাম এবং শহর উভয় জায়গাতেই শ্রমিকরা চাপে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিএমআইই-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহেশ ব্যাস। তবে গ্রামে বেকার শহরের তুলনায় বেশি। ভারতের গ্রামে বেকার ২৬.৭ শতাংশ সেখানে শহরের বেকার হল ২৫.১ শতাংশ।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংস্থার কাছে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে কর্মীদের ছাঁটাই না করার জন্য এবং বেতন না কাটার জন্য। যদিও বাস্তব চিত্রটা ভিন্ন। বহু শ্রমিক সংগঠন ইতিমধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রমিক ছাঁটাই হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে।
অন্যদিকে আবার ছোট মাঝারি শিল্প সংস্থার পাল্টা প্রশ্ন, সরকার তো বেতন না কাটা কর্মী ছাঁটাই না করার কথা বলছে কিন্তু তারা সেটা কিভাবে কতদিন পালন করবেন যদি না সরকারি সহায়তা মেলে।
ভারতে প্রথমে ২১ দিনের লকডাউন করার কথা বলা হলেও পরে তা বাড়িয়ে আপাতত ৩ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। কিন্তু যা পরিস্থিতি তাতে ফের লকডাউন বাড়ানো হতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন। সে ক্ষেত্রে লকডাউন কবে শেষ হবে একটা বড় প্রশ্ন আর তারপরে কর্মসংস্থানের চিত্রটা কেমন দাঁড়াবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় অনেকেরই কপালে ভাঁজ পড়ছে। কারন এই সমীক্ষাই বার্তা দিল কয়েকদিন লকডাউন চলায় কাজের বাজারটার কতটা ভয়ঙ্কর দশা হতে পারে।