নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ এপ্রিল ৷৷ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থদান অব্যাহত রয়েছে৷ অল ত্রিপুরা ব্লাইন্ড কমিটিও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থদানের জন্য এগিয়ে এসেছে৷ অর্থদানের পরিমাণ তেমন বেশি না হলেও তাদের দানের মানসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ৷ বর্তমানে গোটা দেশে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন চলছে৷ লকডাউনের ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্তব্ধ হয়ে পড়েছে৷ বিশেষ করে গরিব অংশের মানুষের রুটি রোজগার বন্ধ৷ ওইসব মানুষের কথা মাথায় রেখে সরকার ফ্রি রেশনের ব্যবস্থা করেছে৷ কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়৷
সেজন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি, ক্লাব, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওইসব অসহায় গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছেন৷ প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে গরিব অংশের মানুষের হাতে বেসরকারি উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হচ্ছে৷ আবার অনেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ওইসব গরিব মানুষের সাহায্যার্থে অর্থদান অব্যাহত রেখেছেন৷
১৮ এপ্রিল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৯ কোটি ৮ লক্ষ টাকা দান করেছেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা৷ রবিবারও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান অব্যাহত রয়েছে৷ রবিবার সকালে অল ত্রিপুরা ব্লাইন্ড কমিটি শিক্ষামন্ত্রীর রতনলাল নাথের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলের উদ্দেশ্যে ৭ হাজার টাকার চেক তুলে দিয়েছেন৷ এদিকে, ওএনজিসির অবসরপ্রাপ্ত কর্মী কানু দেবনাথ ৩০ হাজার টাকা এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক কিশোর দত্তও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে রবিবার অর্থদান করেছেন৷ শিক্ষামন্ত্রী জানান, লকডাউনের ফলে গরিবদের অবস্থা খুবই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে৷ সরকারি সাহায্যও যথেষ্ট নয়৷ সে জন্যই এগিয়ে আসছেন মানবদরদি মানুষজন ও বিভিন্ন সংস্থা৷ এ ধরনের উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন৷
শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ রবিবার তথ্য দিতে গিয়ে জানান, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য ১ হাজার ৪৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷ এর মধ্যে টেস্ট সম্পূর্ণ হয়েছে ৯০০ জনের৷ দুটি পজেটিভ কেইস ছাড়া সবগুলিই স্বাভাবিক রয়েছে৷ এর মধ্যেও একজন সুস্থ হয়ে ফিরেছেন৷ অপর একজনের অবস্থাও প্রায় স্বাভাবিক৷ তিনি জানান, এতদিন লালা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হতো৷ এখন রক্ত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কিটস এসেছে৷ এর ফলে জেলা পর্যায়ে এখন পরীক্ষার সুযোগ সম্প্রসারিত হয়েছে৷ সকলকে সচেতন থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷