BRAKING NEWS

গরীব পরিবারে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ নানা জায়গায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ এপ্রিল ৷৷ ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে রবিবার ট্রাফিক ভবনে দুস্থ রিকশা চালকদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়৷ শতাধিক রিকশা চালকের হাতে ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন৷ এর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, আলু, দুধ, সয়াবিন, সাবান এবং ভোজ্য তেল৷ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত কারণে লকডাউন ঘোষণা করায় রিকশা চালকদের জীবন জীবিকা পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে পড়েছে৷ তারা রিকশা নিয়ে বের হতে পারছে না৷ ফলে পরিবারে অনাহার, অনটন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে৷ সরকারি তরফে তাদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়৷ সেজন্যই ট্রাফিক পুলিশ ওইসব অসহায় রিকশা চালকদের পাশে দাঁড়িয়েছে৷ আগামীদিনেও এ ধরনের সামাজিক কাজকর্মে ট্রাফিক পুলিশ আত্মনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা৷


খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ধূপছড়া এডিসি ভিলেজে ২০০ শতাধিক গরিব পরিবারের মধ্যে রবিবার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়৷ এউপলক্ষ্যে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক রতন চক্রবর্তী৷ তিনি এম কে আই ইট ভাটাও পরিদর্শন করেন৷ পরিদর্শন কালে শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের দুঃখ, দুর্দশা সম্পর্কে খোজ খবর নেন৷ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৭১টি শ্রমিক পরিবারের হাতে ১০০০ টাকা কোট ৭১ হাজার টাকা প্রদান করা হয়৷ তাতে শ্রমিকরা সন্তোষ ব্যক্ত করেন৷ বিধায়ক রতন চক্রবর্তী এলাকার জনগণ এবং ইট ভাটা শ্রমিকদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি জানান, এলাকার কোনও মানুষ যাতে অনাহারে না থাকেন সেজন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাব ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে৷ এর মধ্য দিয়ে মানবতাবোধের পরিচয় মিলছে বলেও তিনি উল্লেখ্য করেন৷


বিধায়ক সুরজিৎ দত্তের ত্রাণ বণ্টন অব্যাহত রয়েছে৷ রবিবার চতুর্থ পর্যায়ে বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ বণ্টন করেছেন বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত৷ লেইক চৌমুহনি বাজার উন্নয়ন কমিটির ব্যবস্থাপনায় বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত শতাধিক দুস্থ মানুষের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিয়েছেন৷ বিধায়ক শ্রী দত্ত জানান, আইজিএম, হরিজন কলোনি, শ্মশানঘাট হাড্ডি কলোনি, টিআরটিসি চৌমুহনি, লেইক চৌমুহনি, এডভাইজার চৌমুহনি সহ বিভিন্ন স্থানে রবিবার ১৮০০ জনকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়৷ এর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, আলু, সয়াবিন এবং সাবান৷ লকডাউন যতদিন চলবে ততদিন তিনি এ ধরনের দান অব্যাহত রাখবেন৷ প্রয়োজন হলে লকডাউনের পড়েও গরিব মানুষের মুখে আহার তুলে দিতে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে জানান৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *