নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ এপ্রিল৷৷ কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলায় ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির সুুপারিশ অনুসারে ন্যাশনাল এগজেকিউটিভ কমিটি সমস্ত মন্ত্রক / রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনকে জানিয়েছে যে, লকডাউনকে ৩ মে, ২০২০ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে এবং এ সম্পর্কিত বিধিনিষেধও ০৩-০৫-২০২০ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে৷ ২০ এপ্রিল, ২০২০ থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেসব ছাড় দেওয়া হবে সেজন্যও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে৷ তাছাড়া লকডাউনের নিয়মাবলী বাস্তবায়নের জন্য সমস্ত জেলাশাসকদের জন্য যে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে তা নিম্নরূপ:
পাবলিক স্পেসের ক্ষেত্রে : ১) কর্মক্ষেত্র এবং বাড়ি থেকে বেরোলেই মুখ ঢেকে বেরোতে হবে৷ ২) কর্মক্ষেত্রে এবং পাবলিক প্লেস-এ পরিবহণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুসারে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করবেন সংশ্লিষ্ট কর্ত’পক্ষ৷ ৩) সংস্থা / পাবলিক প্লেস-এর কর্ত’পক্ষ ৫ বা ততোধিক মানুষের সমাগম হতে দেবেন না৷ ৪) বিবাহ অনুষ্ঠান ও দাহক্রিয়া সংক্রান্ত ব্যাপারে জেলা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবেন৷ ৫) পাবলিক প্লেসে থু থু ফেললে জরিমানা দিতে হবে৷ ৬) মদ, গুটখা, তামাক জাতীয় দ্রব্যাদি বিক্রি পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকবে৷
কর্মক্ষেত্রে : ৭) সমস্ত ধরনের কর্মক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকতে হবে৷ ৮) কর্মক্ষেত্রে দুই শিফট-এর মধ্যে এক ঘন্টার ব্যবধান থাকবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কর্মচারীদের দুপুরের খাওয়ার সময় ও আলাদা আলাদা হবে৷ ৯) বিভিন্ন রোগগ্রস্ত ৬৫ বছরের বেশি বয়সী লোক এবং ৫ বছরের কম বয়সী শিশু রয়েছে এমন অভিভাবকদের বাড়ি থেকে কাজ করতে উৎসাহিত করা হবে৷ ১০) সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে কর্মচারীদের আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা হবে৷ ১১) বিভিন্ন শিফট-এর মধ্যে সমস্ত সংস্থা তাদের কর্মক্ষেত্রকে স্যানিটাইজ করবে৷ ১২) বড় আকারের বৈঠক নিষিদ্ধ থাকবে৷ উৎপাদনকারী সংস্থাদের জন্য : ১৩) সর্বসাধারণের দ্বারা ব্যবহৃত জায়গাগুলি ঘন ঘন পরিষ্কার করতে হবে এবং হাত ধোয়া বাধ্যতামূলক হবে৷ ১৪) দুই শিফট যেন কোনওভাবেই একই সময়ে উপস্থিত না হয় এবং ক্যান্টিন-এ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আলাদা আলাদা সময়ে খাবার ব্যবস্থা থাকবে৷ ১৫) স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার করতে হবে৷
বিভিন্ন অফিস, কর্মক্ষেত্র, কারখানা ও অন্যান্য সংস্থায় পরিচালনাগত নির্দেশিকা : ১) সমস্ত কর্মক্ষেত্রের এলাকায় প্রবেশদ্বার, ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যান্টিন, সভাগৃহ / খোলা জায়গা / বারান্দা, ব্যাঙ্কার, পোর্টা ক্যাবিন, বিল্ডিং, বিভিন্ন সর’াম, লিফট, ওয়াশরুম টয়লেট সিংক, ওয়াটার পয়েন্ট, দেওয়াল ও অন্যান্য সারফেসকে মানুষের পক্ষে অক্ষতিকারক জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে৷২) বাইরে থেকে আসা কর্মীদের জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করতে হবে৷ সেক্ষেত্রে এসব বাহনে মাত্র ৩০-৪০ শতাংশ প্যাসে’ার বসতে পারবে৷ ৩) কর্মক্ষেত্রে আসা সমস্ত যানবাহনকে স্পে করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে৷ ৪) কর্মক্ষেত্রে ঢোকা ও বাইরে যাওয়ার সময় সবার শরীরের তাপমাত্রা থার্মাল পদ্ধতিতে পরীক্ষা করতে হবে৷ ৫) কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য বিমা বাধ্যতামূলক করতে হবে৷ ৬) সর্বসাধারণের ব্যবহৃত জায়গা এবং প্রবেশ ও নিকাশদ্বারে হ্যাণ্ডওয়াশ ও স্যানিটাইজার-এর (যথাসম্ভব টাচ ফ্রি) ব্যবস্থা রাখতে হবে৷ পর্যাপ্ত পরিমাণে এসবের ব্যবস্থা রাখতে হবে৷ ৭) কর্মক্ষেত্রে দুই শিফট-এর মধ্যে এক ঘন্টার ব্যবধান থাকবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আলাদা আলাদা সময়ে দুপুরের খাবার খেতে হবে৷ ৮) ১০ জনের অধিককে নিয়ে বৈঠক না করা৷ কাজের সময় বা বৈঠকের সময় কমপক্ষে ৬ ফুট দূরত্বে বসতে হবে৷ ৯) একসাথে ২/৪ জনের বেশি (সাইজ অনুযায়ী) লিফট ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না৷ ১০) সিঁড়ি ব্যবহারে উৎসাহিত করা হবে৷ ১১) মদ, গুটকা, তামাক জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার ও থু থু ফেলা নিষিদ্ধ৷ ১২) অপ্রয়োজনীয় কোনও ব্যক্তিকে আসতে দেওয়া হবে না৷ ১৩) কর্মক্ষেত্রের কাছাকাছি কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য চিহ্ণিত হাসপাতালের তালিকা সবসময় কর্মক্ষেত্রে রাখতে হবে৷