ঝড়ে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্তব্ধ, বাড়ি ঘরের ব্যাপক ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ এপ্রিল৷৷ ঝড় বৃষ্টিতে স্বস্তি জনজীবনে স্বস্তি এলেও বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে পড়েছে৷ সেই সাথে বেশ কিছু বাড়ি ঘরের ছাউনি উড়ে গিয়েছে৷
নববর্ষের প্রথম দিন থেকেই পারদ ক্রমেই চড়ছিল৷ দিনে রাতে মিলিয়ে বৃদ্ধি পায় তাপমাত্রা৷ একে করোনার জের৷ তার উপর তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল৷ তবে ইতিমধ্যেই ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর৷ ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে রাজ্যের বেশ কিছু জেলা জুড়ে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে এক পশলা বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল৷ সেই মোতাবেক নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে দুপুরে নেমে এল সন্ধ্যার কালো অন্ধাকর৷ মুহুর্তের মধে শুরু ঝড়ো হাওয়া৷

সঙ্গে বৃষ্টি৷ ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে রাজ্যের বেশ কিছু স্থানে৷ চারদিক ধূলোয় অন্ধকার হয়ে পড়ে৷ শুনশান রাস্তায় এদিনের কাল বৈশাখীর তান্ডব অনেকেই বাড়িতে থেকে অনুভব করে৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই নেমে আসে বৃষ্টি৷ ক্ষণিকের জন্য হলেও উষ্ণতার সেই ছেঁকা থেকে স্বস্তি পেল সকলে৷ ঝড়ো হাওয়ার কারণে তেমন বৃষ্টি না হলেও তাপমাত্রা একলাফে বেশ খানিকটা কমল এদিন৷ তবে ঝড়ো হাওয়ার দরুন বেশ কিছু এলাকায় ব্যপক ক্ষতি হয়েছে৷


বুধবারের আচমকা কালবৈশাখীর ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কুমারঘাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকায়৷ কুমারঘাট কুমারঘাট ব্লক সংলগ্ণ প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের সহ অধিকর্তার কার্য্যালয়ের সামনে থাকা বিশাল আকারের গাছ ভেঙ্গে পড়ে অফিসের সামনে থাকা অফিস কর্মীদের বাইক, গাড়ির উপর৷ এতে করে টিআর-০৪-৯৮৩২ নম্বরের একটি বাইকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ একই সঙ্গে টিআর-০২এফ- ৯৪৯৫ নম্বরের সুকটি এবং টিআর-০১এম-০২১৮ নম্বরের একটি অল্টো গাড়ির ক্ষতি হয়ে গেছে৷ পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয় সেগুলি৷ এদিকে, কাল বৈশাখীর তান্ডবে মহকুমা জুড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে৷ পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নিগমের কর্মীরা কাজ করে চলেছেন৷


এদিকে, কমলপুর মহকুমার দুর্গাচৌমুহনী এলাকায় চুলুবাড়ীতে বড় আকারের একটি গাছ বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের উপর ভেঙ্গে পড়ে৷ তাতে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে যায়৷ বেশ কিছু খঁুটি ভূপাতিত হয়েছে৷ তাতে এনইসির রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়৷