মাধ্যমিক ও দ্বাদশের উত্তরপত্র মূল্যায়নে বিশেষ ব্যবস্থা পর্ষদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ এপ্রিল৷৷ করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের ফলে রাজ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়নের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি, বিদ্যালয়গুলিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে৷ এছাড়া লকডাউন চলাকালীন সুকল পড়ুয়াদের ক্যাবল টিভি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এক ঘন্টা করে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ আজ শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ সমস্ত বিষয় নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে জেলা স্তরে পর্যালোচনা করেছেন৷


শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ জানিয়েছেন, ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের অধিকাংশ পরীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে৷ কিন্তু, করোনা ভাইরাসের প্রকোপে লকডাউনের ফলে কয়েকটি পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে৷ তিনি বলেন, লকডাউন উঠে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ওই পরীক্ষাগুলি অনুষ্ঠিত হবে৷ এদিন তিনি বলেন, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়েনের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এক্ষেত্রে আগামী দুই দিনের মধ্যে সমস্ত উত্তরপত্র আগরতলায় একত্রিত করা হবে৷ তিনি জানান, লকডাউনের পরিস্থিতিতে আগরতলার বাইরের শিক্ষক শিক্ষিকাদের দ্বারা উত্তরপত্র মূল্যায়ন সম্ভব হবে না৷ কারণ, তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা আপাতত সম্ভব নয়৷ তাই, আগরতলার বিভিন্ন সরকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারাই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবেন৷


শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আগরতলায় উত্তরপত্র মূল্যায়নে ১৫টি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে৷ সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষক শিক্ষিকারা উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবেন৷ সাথে তিনি আরও জানান, ওই শিক্ষিক শিক্ষিকাদের যাতায়াতের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও করা হবে৷ তিনি বলেন, যাদের নিজস্ব কিংবা দ্বিচক্র যান রয়েছে তাদেরকে পাস দেওয়া হবে৷ অন্যদের টিআরটিসি বাসের মাধ্যমে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হবে৷
এদিন তিনি জানান, রাজ্যে বিদ্যালয়গুলিতে পঠন পাঠন বন্ধ হয়ে আছে৷ ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রতিদিন এক ঘন্টা করে ক্যাবল টিভি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ তাঁর দাবি, পরিস্থিতি সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে উঠলে চার মে থেকেই সমস্ত বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে৷ তবে, এক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম পালন করা হবে৷ তিনি বলেন, পর্য্যায়ক্রমে ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যাবেন৷ উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, একটি ক্লাসে ৫০ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ২৫ জন একদিন বাদে বাদে সুকলে যাবে৷ কারণ, সামাজিক দূরত্ব লকডাউন উঠে গেলেও বেশ কিছুদিন বিদ্যালয়গুলিতে পালন করা হবে৷