নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ এপ্রিল ৷৷ লকডাউন চলাকালে গ্রামীণ এলাকাতেও কৃষি ব্যবস্থা অনেকাংশেই স্থব্ধ হয়ে পড়েছে৷ কৃষিকাজ পুরোদমে চালু করতে এবং উৎপাদিত ফসল কৃষকরা যাতে বাজারজাত করতে পারেন সেজন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রত্যেক কৃষকের জন্য পাস ইস্যু করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানিয়েছে সিপিআইএম৷ রাজ্যের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করার জন্য পাস ইস্যু করতে জোরালো দাবি জানিয়েছে সিপিআইএম৷ এসব বিষয় নিয়ে বুধবার সিপিআইএম’র এক প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷
সার্বিক সমস্যা নিয়ে তাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়৷ সিপিআইএম পশ্চিম জেলা সম্পাদক পবিত্র কর জানান, কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে না পারায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ ফলে কৃষকরা সমস্যার সম্মুখীন৷ কৃষকরা যাতে তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে আসতে পারেন সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন এসডিএম, বিডিও, কৃষি আধিকারিক সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্যরা যাতে পাস ইস্যু করেন সেজন্য দাবি জানানো হয়েছে৷ তথ্য দিয়ে গিয়ে পবিত্র কর বলেন, কৃষকদের কাছে পাস না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদিত ফসল বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে এসে বিপদে পড়ছে কৃষকরা৷
ফসল নিয়ে আসার সময় হয়তো পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ কিন্তু ফিরে যাওয়ার সময় তাদেরকে হেনস্তা করা হচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, গ্রামীণ এলাকা থেকে উৎপাদিত ফসল শহর এলাকায় না আসলে সঙ্কট দেখা দেবে৷ এসব বিষয় মাথায় রেখেই পাস ইস্যু জরুরি বলে তারা মনে করেন৷ পবিত্র বাবু আরও বলেন কিছুদিনের মধ্যেই কৃষকের ঘরে ধান উঠবে৷ ফসল কাটার কাজের জন্য রেগাকে কাজে লাগাতে সিপিএম’র পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে৷ উৎপাদিত ধান সরকারি নির্ধারিত মূল্যে ক্রয় করার জন্য এখনই উদ্যোগ নিতেও অনুরোধ জানানো হয়েছে৷
প্রত্যেক ভিএলডব্লিও অফিস এবং বেসরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিক্রেতাদের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণে সার, বীজ, কীটনাশক ইত্যাদি বাজারজাত করণের ব্যবস্থা করার জন্যও দাবি জানানো হয়েছে৷ রাজধানী আগরতলা শহরে পেশ কয়েকটি দোকান উন্নতমানের বীজ বিক্রি করে থাকে৷ এইসব দোকান লকডাউনের ফলে বন্ধ হয়ে রয়েছে৷ এইসব দোকান খোলার ব্যবস্থা করতেও সরকারের দৃষ্টি অকর্ষণ করা হয়েছে৷ সরকারপক্ষ এইসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সহমত পোষণ করেছে বলেও জানিয়েছেন পবিত্রবাবু৷