নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ৬ এপ্রিল৷৷ গোটা বিশ্বে যখন কোভিড-১৯ অর্থাৎ করোনা ভাইরাসে জবুথবু অবস্থা৷ আর এই করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জি ২১ দিনের জন্য গোটা দেশে লক ডাউন লাঘু করেছেন৷দেশে লকডাউন হওয়ার সাথে সাথে ত্রিপুরা রাজ্যের ইন্দো বাংলা সীমান্ত সহ ত্রিপুরা অসম সীমান্ত সম্পূর্ণরূপে সিল করে দেওয়া হয়৷ শুধুমাত্র ৮ নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কটি জরুরীকালিন যানবাহন ও পন্যবাহী লড়ি চলাচলের জন্য কড়া নজরদারির মাধ্যমে উন্মুক্ত রাখা হয়৷আর লক ডাউন চলাকালীন সময় দিল্লির নিজামুদ্দিন তবললিগি জমায়েতে অংশগ্রহণ করে অনেকেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন৷পার্শবর্তী রাজ্য আসামের করিমগঞ্জ জেলার বদরপুরেও এক ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার সাথে সাথে উত্তর জেলার ত্রিপুরা অসম সীমান্তে পুলিশি নজরদারি দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়৷ কদমতলা ও চুড়াইবাড়ি থানাধীন ১৮ কিমি সীমান্ত এলাকায় পুলিশ টিএসআর ও স্বেচ্ছাসেবকদের দিয়ে শুরু হয় দিনরাত করা টহলদারি৷
প্রতিদিন উত্তর জেলার পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সহ কদমতলা ও চুরাইবাড়ি থানার ওসি সরজমিন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন৷ যাতে করে আসাম থেকে কোন মানুষ রাজ্যে প্রবেশ করতে না পারে৷ কেননা বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্য একশো শতাংশ করোনা মুক্ত রয়েছেন৷ তাই বহিঃ রাজ্য আসাম থেকে সাধারণ জনগণ ত্রিপুরায় প্রবেশের চেষ্টা চালাবে৷ বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের জন্য গত পরশুদিন অর্থাৎ শনিবার বিকেলবেলা ত্রিপুরা আসাম সীমান্ত কুর্তি এলাকায় ১০০ জন পুলিশ ও টিএসআর জওয়ান মোতায়েন করা হয় নিরাপত্তার জন্য৷ আর তাতে পার্শবর্তী রাজ্য আসামের করিমগঞ্জ জেলার ত্রিপুরা সীমান্তঘেঁষা জনগণের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে৷
তবুও এত কড়া নিরাপত্তার মধ্যে গতকাল রাত আনুমানিক ১০ টা নাগাদ কুকিথল তারকপুর সড়ক দিয়ে ৩/৪ জনের একটি দল আসাম থেকে রাজ্যে প্রবেশ করতে চেষ্টা চালায়৷ কিন্তু ওই সময় ত্রিপুরা সীমান্ত তারকপুরে কদমতলা থানার পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের টহলদারি থাকাতে উনাদের নজরে আসে৷
পুলিশও স্বেচ্ছাসেসকরা সাহসিকতা দেখিয়ে ৩/৪ জনের দলটিকে রাজ্যে প্রবেশ করতে বাধা দিলে ওরা পালিয়ে পুনরায় আসাম সীমান্তে ঢুকে পড়ে৷দুর্ভাগ্যবশত আসাম থেকে আগত দলটি পালিয়ে যাওয়ার পথে ওদের কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র সীমান্ত এলাকায় পড়ে যায়৷ পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে কদমতলা পুলিশের হাতে তুলে দেয়৷ তবে প্রশ্ণ হল ৩/৪ জনের দুষৃকতিকারী দলটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে আসাম সীমান্ত পেরিয়ে রাজ্যে কেন প্রবেশ করতে চেয়েছিল৷ তাদের উদ্দেশ্যটা বা কি ছিল৷নাকি বড় ধরনের কোনো ছক কষতে ষড়যন্ত্র করে তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে রাতের আঁধারে রাজ্যে প্রবেশ করতে চেয়েছিল৷
পাশাপাশি তারকপুর সীমান্ত এলাকায় আরও টিএসআর ও পুলিশকর্মী মোতায়নের দাবি জানান স্থানীয় এলাকাবাসী ও স্বেচ্ছাসেবকরা৷ নতুবা আসাম রাজ্য থেকে অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্যে প্রবেশ বন্ধ করাটা দুষ্কার্য হয়ে পড়বে৷