নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ এপ্রিল৷৷ রাজ্য জুড়ে লক ডাউন চলছে৷ কিন্তু এই লক ডাঊনকে উপেক্ষা করে নেশা কারবারিরা তাদের ক্রিয়াকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে৷ রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে সাধারন জনতার হাতে ধরা পড়ছে নেশা কারবারীরা৷ এরই মধ্যে শনিবার চার নেশাকারবারী টিআর-০১ও- ৩৯২২ নাম্বারের একটি গাড়ি নিয়ে রাজধানীর অভয়নগর হিন্দিসুকল সংলগ্ণ এলাকায় আসে৷ তাদের দেখে এলাকাবাসীদের সন্দেহ হয়৷ তখন এলাকাবাসীরা তাদের আটক করে৷ তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ব্রাউন সুগারের কৌটা সহ নেশা সামগ্রী সেবনের সরঞ্জাম৷ তখন স্থানীরা খবর দেয় পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশকে৷ ঘটনার খবর পেয়ে পূর্ব আগরতলা থানার এসআই কিংকর সাহা পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ জনতার হাতে ধৃত চার ব্যক্তিকে পুলিশ নিজেদের হেপাজতে নিয়ে নেয়৷
কিন্তু তারপরই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যান এসআই কিংকর সাহা৷ আশ্চর্য জনক ভাবে পুকুর চুরির ন্যায় তিনি সংবাদ প্রতিনিধিদের জানান ধৃত চার জন লক ডাউন না মেনে বাড়ী থেকে বেরিয়েছে, তাদেরকে জনগণ আটক করেছে৷ খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ধৃতদের থানায় নিয়ে এসেছেন৷ যাতে কোন ধরনের অপরাধ না হয়৷ ধৃতদের কাছ থেকে কোন ধরনের নেশা সামগ্রী উদ্ধার হয়নি৷ সংবাদ প্রতিনিধিরা তখন কিংকর সাহাকে ফের প্রশ্ণকরে ধৃতদের কাছ থেকে নেশা সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে, তার ভিডিও ফুটেজ সংবাদ প্রতিনিধিদের ক্যামেরায় রয়েছে৷ তারপরও এসআই কিংকর সাহা বলছেন ধৃতদের কাছ থেকে কোন নেশা সামগ্রী উদ্ধার হয়নি৷ তিনি কোন নেশা সামগ্রী দেখতে পাননি৷
প্রশ্ণ হচ্ছে এসআই কিংকর সাহা কি সত্যি নেশা সামগ্রী প্রত্যক্ষ করেন নি? যদি নাই দেখে থাকেন তাহলে তো বলতেই হয় চোখ থাকতে অন্ধের জলন্ত উদাহরণ এসআই কিংকর সাহা৷ ধৃতদের ঘটনাস্থল থেকে পূর্ব আগরতলা থানায় নিয়ে আশা হয়েছে৷ কিন্তু ঘটনাস্থলে ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া নেশা সামগ্রী কোথায় গিয়েছে৷ তাহলে কি দিন দুপুরে পুকুর চুরি হয়ে গেল জন সমক্ষে? দাবি উঠছে আরক্ষা দপ্তর এই বিষয়টির প্রতি নজর দিক৷ কারন জনসমক্ষে উদ্ধার হওয়া নেশা সামগ্রীর কথা একজন পুলিশের এসআই যদি অস্বীকার করেন, তাহলে নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়া কঠিন কাজ হয়ে যাবে৷