নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ এপ্রিল ৷৷ বাধারঘাটের মাতৃপল্লী এলাকার মিহির পুষ্প ডালমুট ফুড প্রোডাক্টের কর্ণধার গোবিন্দ পাল এলাকার গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ালেন৷ তিনি এলাকার বাছাই করা ২৭০ জন গরিব পরিবারের হাতে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দিয়েছেন৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্ষুদ্র অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এইসব সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়৷ গোবিন্দবাবু বলেন, দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণার ফলে শ্রমিক ও গরিব পরিবারের মানুষজন অসহায় হয়ে পড়েছেন৷ তাদের কাজকর্ম নেই, রুটি রোজগারহীন হয়ে পড়ায় অনাহারের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ সে কারণেই তিনি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ,সয়াবিন, তেল, চা-পাতা, চিনি এবং মুড়ি ২৭০ জনের হাতে তুলে দিয়েছেন গোবিন্দ পাল৷ সমাজের অন্যান্যদেরকেও এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আবেদন জানিয়েছেন৷
রাজধানী আগরতলা শহর সংলগ্ণ অভয়নগর মধ্যপাড়ার ব্লাডসান ক্লাবের পক্ষ থেকে শনিবার শতাধিক গরিব পরিবারের হাতে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে৷ চাল, ডাল, তেল সহ অন্যান্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে গরিবদের পরিবারে৷ ক্লাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লকডাউনের ফলে এলাকার বহু মানুষ খাদ্য সমস্যায় পড়েছেন৷ এই সমস্যার কথা বিবেচনা করে ব্লাডসান ক্লাবের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে চাঁদা সংগ্রহ করে এবং ক্লাব ফান্ডের টাকা থেকে চাল, ডাল ইত্যাদি ক্রয় করে গরিবদের মধ্যে বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ যতদিন এই অচলবস্থা অব্যাহত থাকবে ততদিন তারা এ ধরনের প্রয়াস জারি রাখবেন বলে জানিয়েছেন৷ এটি তারা তাদের সামাজিক নৈতিক দায়িত্ব বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন৷
ত্রিপুর ক্ষত্রিয় সমাজের পক্ষ থেকে তেলিয়ামুড়ার কৃষ্ণপুর বিধানসভা এলাকায় স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির এবং গরিব পরিবারগুলির মধ্যে চাল, ডাল সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে৷ ত্রিপুর ক্ষত্রিয় সমাজের পক্ষ থেকে সমাজের সকল অংশের জনগণকে লকডাউন চলাকালে অসহায় গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে৷ লকডাউনের ফলে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত৷ চিকিৎসা পরিষেবার কাজেও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও সমাজসেবী সংস্থাগুলিকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানানো হয়েছে৷ ত্রিপুর ক্ষত্রিয় সমাজ ভবিষ্যতেও এ ধরনের সামাজিক কাজকর্ম অব্যাহত রাখবে বলে জানানো হয়৷
করোনার জেরে রাজ্যে জারি লকডাউন ও কারফিউ৷ শনিবার লকডাউন এর ১২ দিন সম্পূর্ণ৷ আমবাসা মহাকুমার বিভিন্ন জায়গায় খাদ্য সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ দু:স্থদের মধ্যে খাদ্য সমস্যা বিরাট আকার ধারণ করেছে৷ এ সময় পাশে রয়েছে আমবাসা যুব মোর্চার মন্ডল কমিটি৷ প্রতিদিনই দুস্থদের মধ্যে চলছে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ৷ চাল-ডাল সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ চলছে প্রতিদিন ৷ এদিন আমবাসা টিআরটিসি পাড়া আম্বেদকর নগর সুকলের সামনে দু:স্থদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়৷ প্রায় ৫০ পরিবারের মধ্যে চাল, ডাল সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়৷ উপস্থিত ছিলেন যুব মোর্চার ধলাই জেলার সভাপতি আশিস ভট্টাচার্য, যুব মোর্চা মন্ডল সভাপতি শ্যামল শীল সহ যুব মোর্চার অন্যান্য কার্যকর্তারা৷
উদয়পুর এর যুব জাগরণ সামাজিক সংস্থা এবার এগিয়ে এলো আরক্ষা প্রশাসনের সহযোগিতায়৷ শনিবার যুব জাগরণ সামাজিক সংস্থার কর্মকর্তারা উদয়পুর শহরের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে রাস্তায় কর্মরত পুলিশ এবং আরক্ষা কর্মীদের সামান্য জল খাবারের ব্যবস্থা করেন৷ তাদের হাতে সে জল খাবার তুলে দিয়ে তারা তাদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন৷ যুব জাগরণ সামাজিক সংস্থার সদস্যরা জানান পুলিশ, ডাক্তার এবং অন্যান্য জরুরিকালীন পরিষেবা যারা দিয়ে যাচ্ছেন তাদের কারণেই রাজ্যবাসী তথা ভারতবাসী কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে৷ এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, যুব জাগরণ সামাজিক সংস্থার সভাপতি শিশির ভৌমিক, সম্পাদক ভোলানাথ দেব সহ অন্যান্যরা৷ তারা আগামী দিনেও এই ভাবেই শুধু আরক্ষা দপ্তর নয়৷ জরুরী ভিত্তিতে এগিয়ে আসা প্রত্যেকের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন৷