নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ এপ্রিল৷৷ করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বহিঃরাজ্যের সমস্ত ত্রিপুরা ভবনকে ত্রাণ শিবির হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে৷ পাশাপাশি, বহিঃরাজ্যে আটকে রয়েছেন এমন ত্রিপুরার নাগরিকদের জীবন জীবিকার প্রশ্ণে আর্থিক সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার৷
শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যসচিব জানান, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গতকাল স্টেট এগজিকিউটিভ কমিটির এক সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ সিদ্ধান্ত অনুসারে সমস্ত ত্রিপুরা ভবনকে ত্রাণ শিবির হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরা ভবনগুলিতে যাঁরা অবস্থান করছেন তাঁদেরকে ২১ দিনের ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হবে৷ সাথে তাঁদের প্রত্যেককে খাবারের জন্য প্রতিদিন ১১৮ টাকা করে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে৷ শুধু তা-ই নয়, ত্রিপুরা ভবনের ভাড়াও মকুব করে দেওয়া হবে, জানান তিনি৷
তাঁর কথায়, যাঁরা ত্রিপুরা ভবনের বাইরে বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থান করছেন তাঁদের প্রত্যেককে থাকার জন্য এক হাজার টাকা এবং খাবার জন্য জনপ্রতি ১৫০ টাকা প্রতিদিন দেওয়া হবে৷ তবে বেতনভোগী কর্মচারী যাঁরা ত্রিপুরা ভবনে এবং তাদের নিজের কর্মস্থলে রয়েছেন তাঁরা এই ত্রাণ সহায়তার জন্য বিবেচিত হবেন না৷ এছাড়া যাঁরা বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন কিংবা বিভিন্ন রাজ্যে নিজস্ব ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন তাঁদেরকেও এই ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হবে না৷
স্বাস্থ্যসচিবের কথায়, সরকারি ত্রাণ সহায়তা শুধুমাত্র তাঁদের প্রদান করা হবে যাঁরা বিভিন্ন রাজ্যে চিকিৎসা করতে গিয়ে ও পর্যটন ভ্রমণে গিয়ে আটকে গেছেন এবং ত্রিপুরার ছাত্রছাত্রী যাঁরা বহিঃরাজ্যে বিভিন্ন হস্টেলে রয়েছেন এবং ত্রিপুরার বিভিন্ন শ্রমিক যাঁরা অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত তাঁদেরকে এই সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে৷ ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের এই ত্রাণ সহায়তা প্রদানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছেন তিনি৷