নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ এপ্রিল৷৷ করোনা সংকটের মাঝে নতুন উপদ্রব ঘূর্ণিঝড়৷ প্রাক-বর্ষা কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাব দেখা গেছে৷ বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় দুপুরে খোয়াই, ধলাই, উত্তর ত্রিপুরা এবং ঊনকোটি জেলায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে৷ ক্রমশ পশ্চিম জেলার দিকে ওই ঝড় ধেয়ে আসছে৷ তবে, ঝড়ের প্রভাব সিপাহিজলা, গোমতি এবং দক্ষিণ জেলায় দেখা যাবে না৷ আজ ও আগামীকাল ওই ঝড়ের প্রভাব দেখা যাবে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে৷
বিমানবন্দরে অবস্থিত আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক আর ফুকন জানিয়েছেন, ২ এবং ৩ এপ্রিল কালবৈশাখীর তাণ্ডব দেখবে ত্রিপুরা৷ কিছু কিছু স্থানে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মাঝারি হলেও, কিছু স্থানে তার প্রভাব তীব্র হবে৷ তিনি বলেন, আজ দুপুরেই খোয়াই, ধলাই, উত্তর ত্রিপুরা এবং ঊনকোটি জেলায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে৷ পশ্চিম জেলায়ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেখা যাবে৷ সে-ক্ষেত্রে আগরতলায় মারাত্মক প্রভাব দেখা না গেলেও এই জেলার কিছু স্থানে ঘূর্ণিঝড় তীব্র হবে৷
তাঁর কথায়, ঘূর্ণিঝড়ের সাথে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই৷ তবে, প্রচণ্ড গতিতে বাতাস বইবে৷ মূলত, বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের কারণেই ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে৷ এতে ক্ষয়ক্ষতি কী পরিমাণ হবে তা অনুমান করা যাচ্ছে না৷ করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের সাথে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ ত্রিপুরাকে গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে৷