নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ এপ্রিল : লকডাউনের নবম দিনেও সদরের এসডিএম জনসচেতনতা বাড়াতে ও বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন৷ জনগনকে আতঙ্কগ্রস্ত না হতে এবং সংযম পালন করতে আহ্বান জানিয়েছেন৷ লকডাউন চলাকালে সংযম পালন না করলে সমস্যা জটিল থেকে জঠিলতর আকার ধারন করতে পারে৷ লকডাউনের প্রথমদিনে প্রত্যেককে লকডাউনের নিয়মকানুন যথাযথভাবে মেনে চলতে এবং যথেষ্ট সংযমভাবে জীবন যাপন করতে আহ্বান জানিয়েছেন সদরের এসডিএম৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং বিনা প্রয়োজনে বাড়িঘর থেকে বের না হতে বারবার আহ্বান জানানো স্বত্ত্বেও জনগনের একাংশ তা অমান্য করে চলেছেন৷ বাজারগুলিতে জনসমাগমে লাগাম টানতে সবজি বাজার অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷
বাজারে যাতে ক্রেতারা ভীড় না করেন সেজন্য পাড়ায় পাড়ায়, গলিতে গলিতে পণ্যসামগ্রী, সবজি, মাছ ইত্যাদি পৌঁছে দেবার ব্যবস্থাও করা হয়েছে৷ তা স্বত্ত্বেও বাজারে ভীড় বেড়েই চলেছে৷ সদরের এসডিএম জানান, মানুষ একসঙ্গে বাজারে ভীড় করলে একাংশ মুনাফালোভী ব্যবসায়ী জিনিষপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে৷ পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেন৷ প্রয়োজন হলে পেঁয়াজ বর্জন করতে আহ্বান জানিয়েছেন সদরের এসডিএম৷
এসডিএম জানান, রাজ্য সরকার আরও ১৪ দিনের রেশন অন্তোদয়, বিপিএল এবং বায়ুরিটি গ্রুপের কার্ড হোল্ডারদের জন্য বিনামূল্যে অর্থাৎ একমাসের চাল বিনামূল্যে সরবরাহ করছে৷ তিনি স্থানীয় ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, যারা আর্থিক দিক দিয়ে দুর্বল প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারছে না তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে৷ যেসব বহির্রাজ্যের শ্রমিক রাজ্যে আটকে পড়েছেন তাদেরকেও প্রয়োজনীয় সাহায্য করা হচ্ছে বলে জানান সদরের এসডিএম৷ লকডাউন নিয়ে অহেতুক আতঙ্কগ্রস্ত না হতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে৷ জনগনের যেকোন অসুবিধায় সরকার ও প্রসাসন তাদের পাশে রয়েছে৷