নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ মার্চ৷৷ করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে সারা দেশের সাথে প্রভাব পড়েছে ত্রিপুরায়ও৷ তাই ভবঘুরে, দিনমজুর, হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের খাবার সরবরাহে এগিয়ে এসেছে রাজ্য পুলিশ৷ সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে দুস্থদের মধ্যে খাবার সরবরাহ করা হয়েছে৷ সারা ত্রিপুরাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ৷
এ-বিষয়ে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, লকডাউনের তৃতীয় দিন ত্রিপুরা পুলিশ সামাজিক দূরত্ব ও সঠিক স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া লোকদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে৷ আমি ত্রিপুরা পুলিশ এবং অন্যান্য বাহিনী যাঁরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন তাঁদের প্রশংসা করছি৷ সাথে তাঁর আবেদন, এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সবাই পুলিশ ও সাধারণ প্রশাসনের সাথে সহযোগিতা করুন৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সমস্ত হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের খাবার সরবরাহ করবে ত্রিপুরা পুলিশ৷ আগরতলায় তিনটি হাসপাতাল-সহ সারা রাজ্যে পুলিশের তরফে খাবার সরবরাহ করা হবে৷ তিনি বলেন, পুলিশ নিজেদের জন্য যে খাবার তৈরি করেন সেখানে এখন থেকে রোগীর আত্মীয়দের জন্যও খাবার তৈরি করবেন৷
ইতিপূর্বে, ত্রিপুরা সরকারের নির্দেশে পুর সংস্থাগুলি আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়াদের খাবার সরবরাহ শুরু করেছে৷ এই দুযর্োগে দুবেলা তাদের মুখে অন্ন তুলে দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে পুর সংস্থাগুলি৷ আজ রাজধানী আগরতলা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একইভাবে এগিয়ে এসেছে রাজ্য পুলিশও৷ উত্তর ত্রিপুরার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী বলেন, হাসপাতালে অনেক রোগীর পরিবার লকডাউনের পরিস্থিতিতে ঠিকভাবে খেতে পারছেন না৷ তাই রাজ্য পুলিশের তরফে তাঁদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷
এদিকে, ত্রিপুরা সরকারের তরফে আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়াদের মধ্যে মাস্ক এবং সাবান বিলি করা হয়েছে৷ করোনা ভাইরাস থেকে তাদেরও সুরক্ষিত রাখার জন্য এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ তিনি মাস্ক এবং সাবান বিলিতে নিয়োজিত কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷