নয়াদিল্লি, ১২ মার্চ (হি.স.) : দিল্লি হিংসকে সংগঠিত করার জন্য বিদেশ থেকে অর্থ দিয়ে মদত দেওয়া হয়েছিল। পাশপাশি দেশের বাকি অংশ থেকেও এসেছিল বিপুল পরিমাণ অর্থ। বৃহস্পতিবার সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিন অমিত শাহ বলেন, বিদেশ এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অর্থ ২৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে হিংসা সংগঠিত করার জন্য বিতরণ করা হয়েছিল। ষড়যন্ত্র করে এই হিংসা সংগঠিত করা হয়েছে।
দিল্লি হিংসা রোধে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে অমিত শাহ বলেন, হেড কনস্টেবল রতন লাল এবং আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মার হত্যার সঙ্গে যুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের ৪০টি বিশেষ দল অভিযুক্তদের ধরার জন্য দিনরাত এক করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। জাতি, ধর্মবর্ণ বাছবিচার না করে প্রকৃত দোষীদের সাজা নিশ্চিত করা হবে। দিল্লির হিংসায় ৭০০ এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। হিংসার সঙ্গে যুক্ত ১৯২২ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দুষ্কৃতিদের অর্থ সরবরাহ করার জন্য পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিন পাল্টা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অমিত শাহ বলেন, কংগ্রেস আমলেও হিংসা হয়েছিল। কংগ্রেস ক্ষমতাসীন থাকাকালীন হিংসায় ৭৬ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
দেশের সংখ্যালঘুদের আশ্বস্ত করে অমিত শাহ জানিয়েছেন, সিএএ নিয়ে কোনও অপপ্রচারে কান দেওয়া উচিত নয়। নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য এই আইন নয়। নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য আইনটি তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, দিল্লির হিংসা নিয়ে অবশেষে সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় বুধবার মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই হিংসার সঙ্গে যুক্তরা কেউই রেহাই পাবে না বলে সাফ জানিয়েছিলেন তিনি।
দিল্লির হিংসা নিয়ে সংসদে আলোচনা চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিল কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল হোলির পরে বিষয়টি লোকসভায় আলোচনা হবে। সেই অনুযায়ী ওদিন লোকসভায় দাঁড়িয়ে অমিত শাহ বলেন, দিল্লি হিংসায় জড়িত কাউকেই রেয়াত করা হবে না, সে যে ধর্মেরই হোক না কেন, যে অঞ্চলেরই হোক না কেন। হিংসায় আক্রান্তদের বিচার সুনিশ্চিত করছি। এ ঘটনার পিছনে ‘পূর্ব-পরিকল্পিত চক্রান্ত’ ছিল বলে দাবি করেছেন শাহ। অন্যদিকে, দিল্লি হিংসা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের প্রশংসা করেছেন শাহ।