ভুবনেশ্বর, ৭ মার্চ (হি.স.) : ইয়েস ব্যাঙ্কের বিপর্যয়ে চিন্তায় পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ | কারন পুরীর জগন্নাথদেবের ৫৪৫ কোটি টাকা ইয়েস ব্যাঙ্কে আটকে রয়েছে। জমা টাকা কীভাবে উদ্ধার করা যায় বুঝে উঠতে পারছে না মন্দির কর্তৃপক্ষ। তবে এবিষয়ে ওডিশার আইন মন্ত্রী প্রতাপ জেনার অবশ্য দাবি, মন্দিরের অর্থ সুরক্ষিত, এ নিয়ে কারও চিন্তিত হওয়া নিষ্প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবারই ইয়েস ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)| গ্রাহকদের টাকা তোলা ও ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও শর্ত আরোপ করা হয়েছে| আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত টাকা তোলার অঙ্ক ৫০ হাজার বেঁধে দেওয়া হয়েছে| এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই টাকা তুলতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হয়েছেন ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা| যা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ | ইয়েস ব্যাঙ্কে আটকে রয়েছে পুরীর জগন্নাথদেবের ৫৪৫ কোটি টাকা । ইয়েস ব্যাঙ্কে জমা থাকা টাকা এখন কীভাবে উদ্ধার করা যায় বুঝে উঠতে পারছে না মন্দির কর্তৃপক্ষ। অনেকে দাবি করেছেন, ওই টাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে ফেরত চাওয়া হোক। জগন্নাথের আটকে থাকা টাকার ব্যাপারে রাজ্য সমাজবাদী পার্টির সভাপতি রবি বেহরা চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে। অনুরোধ করেছেন, এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চাওয়া হোক প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের। আর মন্দিরের পূজারীদের দাবি, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক দোষী অফিসারদের বিরুদ্ধে।
রাজ্যের আইন মন্ত্রী প্রতাপ জেনার অবশ্য দাবি, মন্দিরের অর্থ সুরক্ষিত, এ নিয়ে কারও চিন্তিত হওয়া নিষ্প্রয়োজন। ঠাকুরের অর্থের ভাণ্ডার একটুও কমবে না।
প্রসঙ্গত, ভক্তদের প্রণামী আর দানে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা জমা হয় ভগবান জগন্নাথের মন্দিরে। ঠাকুরের নামে বহু জায়গায় জমিও রয়েছে। তার ওপর কোথাও চলছে দোকান আবার কোথাও খননকার্য। এই টাকাও জমা হচ্ছে জগন্নাথদেবের তহবিলে। জগন্নাথ মন্দিরের দেখাশোনার জন্য ওডিশায় আলাদা একটি মন্দির প্রশাসন বিভাগ আছে। দায়িত্বে রয়েছেন এক বরিষ্ঠ আইএএস অফিসার। ৩ বছর আগে ইয়েস ব্যাঙ্কে খোলা হয় জগন্নাথদেবের নামে খাতা। তার আগে মন্দিরের প্রণামী ও দানের অর্থ জমা হত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও এলাহাবাদ ব্যাঙ্কে।