নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ ফেব্রুয়ারি৷৷ রাজ্য সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে নেশা বিরোধী অভিযানে আলাদা মাত্রা পেয়েছে৷ অবশ্যই এতে বিএসএফ-এর ধারাবাহিক সাফল্যকে অস্বীকার করার কোনও সুযোগ নেই৷ ত্রিপুরায় নেশা সামগ্রী আটক এবং পাচার বাণিজ্যের বিরুদ্ধে বিএসএফ-এর ধারাবাহিক অভিযানে ফের সাফল্য পেয়েছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী৷ শুক্রবার মধ্যরাতে সীমান্ত এলাকায় ১,৮১০টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বিএসএফ৷ এগুলোর বাজারমূল্য ৯ লক্ষাধিক টাকা৷ এছাড়াও দুই লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বেআইনি নেশা সামগ্রী উদ্ধার করেছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী৷
বিএসএফ-এর ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ আধিকারিক অরুণ কুমার ভার্মা জানিয়েছেন, সিপাহিজলা জেলার শ্রীমন্তপুর বিওপি এলাকায় গোয়েন্দা খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার মধ্যরাতে ওৎ পেতে বসেন বিএসএফ জওয়ানরা৷ পাচারকারীরা সীমান্ত ডিঙিয়ে ওপারে নেশা সামগ্রী পাচার করবে সেই খবরে তাদের হাতেনাতে ধরতে চেয়েছিলেন বিএসএফ জওয়ানরা৷ অরুণ ভার্মা বলেন, খবর অনুযায়ী পাচারকারীদের গতিবিধি লক্ষ্য করেন বিএসএফ জওয়ানরা৷ পাচারকারীরা কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে ওপারে পাচার সামগ্রী ছুঁড়ছিল৷ ওই সময় বিএসএফ জওয়ানরা তাদের থামতে নির্দেশ দেন৷ কিন্তু, তারা তাতে কান না দিয়ে পাচার চালিয়ে যাচ্ছিল৷ তখন তাদের থামাতে বিএসএফ জওয়ানরা নন ল্যাথেল বন্দুক থেকে গুলি ছুঁড়েন৷ এতে পাচারকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়৷ অরুণ ভার্মা জানিয়েছেন, বিএসএফ জওয়ানরা ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ১৪০০টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছেন৷ যার বাজারমূল্য ৭ লক্ষ ২ হাজার ৫০০ টাকা৷ এছাড়া, ২৫টি বিয়ার ক্যান উদ্ধার হয়েছে৷ যার বাজারমূল্য ২৫০০ টাকা৷ তিনি জানান, উদ্ধারকৃত নেশা সামগ্রী সোনামুড়া থানায় জমা দেওয়া হয়েছে৷
এদিকে, একই রাতে পশ্চিম জেলায় নিশ্চিন্তপুর বিওপি এলাকায় এক দুষৃকতী কাঁটাতারের বেড়া
অতিক্রম করার চেষ্টা করছিল৷ অরুণ ভার্মা জানিয়েছেন, বিএসএফ জওয়ানরা সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় তাকে দেখে তার পিছনে ধাওয়া করেন৷ রাতের অন্ধকারের সুযোগে ওই পাচারকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷ ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে দুটি প্যাকেট উদ্ধার হয়েছে৷ এতে ৪১০টি ইয়াবা ট্যাবলেট পেয়েছেন বিএসএফ জওয়ানরা৷ যার বাজারমূল্য ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা৷ তিনি বলেন, ওই ইয়াবা ট্যাবলেট আগরতলা এক্সাইজের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে৷