নয়াদিল্লি, ২৭ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : দিল্লির হিংসা নিয়ে রাজনীতি করছে কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি বলে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর। এই দুই দলের নেতাদের উস্কানিমূলক বিবৃতি জেরেই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিন প্রকাশ জাভরেকর জানিয়েছেন, দিল্লির হিংসা নিয়ে রাজনীতি করছে কংগ্রেস। সাম্প্রদায়িকতার রঙ লাগাচ্ছে আম আদমি পার্টি। দিল্লির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। হিংসার সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফাস্ট-ট্রাক কোর্টে এদের বিচার হবে।
প্রকাশ জাভরেকর আরও বলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের উচিত শান্তি বজায় রাখা। সংসদের উভয় কক্ষে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর দিল্লি রামলীলা ময়দানে জনসভা করেছিল কংগ্রেস। সেখানে উস্কানিমূলক বিবৃতি দেওয়া হয়। আম আদমি পার্টির নেতা তাহির হুসেনের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক পাওয়া প্রসঙ্গে কংগ্রেসের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই হিংসার পেছনে যারা জড়িত, তাদের মুখোশ দ্রুত খসে পড়বে বলে জানিয়েছেন জাভরেকর।
মূল সমস্যা থেকে নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য এমনটা করছে কংগ্রেস বলে দাবি জাভরেকরের। অমিত শাহের ইস্তফা দেওয়ার যে দাবি কংগ্রেস তুলেছে সেই সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এমন ধরণের দাবি করে নিচু মানের রাজনীতি করছে কংগ্রেস। প্রায় দুই মাস ধরে সাধারণ মানুষকে উস্কানি দেওয়া হয়েছে।
উত্তরপূর্ব দিল্লির হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দায়ের করা হয়েছে ১৮টি এফআইআর। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪। ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, সেবার রাজীব গান্ধী বলেছিলেন গাছ নড়লে পাতারাও ঝরে পড়ে। আর এখন সিএএ নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, সিএএ নিয়ে নির্ণায়ক লড়াই হবে। জাভরেকর বলেন সোনিয়ার এমন ধরণের মন্তব্যের ফলে হিংসা আরও বেশি করে দানা বেঁধেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, দিল্লি হিংসায় গুরুতর জখম ২০০ বেশি।