রাঁচি, ২০ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): হিন্দু সমাজকে সুসংগঠিত করাই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর কাজ| আরএসএস-এর উদ্দেশ্য হল হিন্দুত্বের চেতনায় জাতীয় চেতনাকে শক্তিশালী করে সমতাবাদী ও অ-শোষণমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা| বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে, রাঁচি কলেজের ফুটবল ময়দানে স্বয়ংসেবকদের উদ্দেশ্যে এই মন্তব্য করেছেন আরএসএস-এর সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত| মোহন ভাগবত এদিন বলেছেন, ‘হিন্দু সমাজকে সুসংগঠিত করাই আরএসএস-এর কাজ| আরএসএস-এর উদ্দেশ্য হল হিন্দুত্বের চেতনায় জাতীয় চেতনাকে শক্তিশালী করে সমতাবাদী ও অ-শোষণমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা| সঙ্ঘের নীতি ও অনুশীলন সমাজের জন্য অনুকরণীয়| তবে, এর অর্থ এই নয় যে সঙ্ঘ সমস্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে, মানুষজন এমন কথা বলে, এমনকি ইমরান খানও বলেন, কিন্তু, স্বয়ংসেবকরা নিজেদের উদ্দেশ্যের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ|’
এদিন স্বয়ংসেবকদের উদ্দেশ্যে মোহন ভাগবত বলেছেন, ভারতকে বিশ্ব গুরু হিসাবে উন্নীত করার জন্য প্রতিটি মানুষকে একত্রিত করার কাজ করছে আরএসএস| স্বয়ংসেবকরা সমাজের আদর্শ রূপে প্রস্তুত হোক এবং সঙ্ঘের নিয়মিত শাখা থেকেই তা সম্ভব| সঙ্ঘের ভাষণেই ভারত বিশ্ব গুরু হিসাবে উন্নীত হবে এমনটা নয়, শাখার নিত্য সাধনাকে নিজেদের ব্যবহারে মধ্যেও আনতে হবে| দেশ গঠনের কাজে কেউ আপনাকে ধন্যবাদ অথবা কৃতজ্ঞতা জানাবে না| দেশের জন্য আমাদেরও তো কিছু করতে হবে| আমাদের সমাজ গোটা বিশ্বকে একটি পরিবার হিসেবে বিবেচনা করে|
হিন্দুরা নিজেদের দেশের প্রতি আরও দায়িত্বশীল হয়ে উঠুক, এই আবেদন জানিয়ে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত বলেছেন, নিজেদের দেশের প্রতি আরও দায়িত্বশীল হয়ে উঠুক হিন্দুরা| আরএসএস-এর উদ্দেশ্য হল হিন্দুত্বের চেতনায় জাতীয় চেতনাকে শক্তিশালী করে সমতাবাদী ও অ-শোষণমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা| নিজেদের সংস্কৃতির প্রতি গর্বিত হয়ে, দেশকে গৌরবান্বিত করার জন্য কাজ করুন| স্বয়ংসেবকরা আদর্শ হয়ে প্রস্তুত হোক| উল্লেখ্য, পাঁচ-দিনের সফরে বুধবার সন্ধ্যায় ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-র সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত| রাঁচি সফর শেষে ২৩ ফেব্রুয়ারি দেওঘরের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন মোহন ভাগবত| এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে যাবেন তিনি|