নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ ফেব্রুয়ারী৷৷ এটিএম হ্যাক কাণ্ডে যুক্ত সন্দেহে ধৃত ব্যক্তির পুলিশ লকআপে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত এখনও সমাপ্ত হয়নি৷ বহু নথি এবং প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে৷ তবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই তদন্ত সমাপ্ত করা হবে৷ আজ পশ্চিম আগরতলা থানায় তদন্তে এসে এ-কথা বলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসক ড় সন্দীপ এন মাহাত্মে৷ তাঁর কথায়, তদন্ত কাজ অনেকটা এগিয়েছে৷ তবে প্রচুর রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হচ্ছে৷ তাই কিছুটা সময় লাগছে৷
প্রসঙ্গত, গত ১২ জানুয়ারি পশ্চিম আগরতলা থানায় সন্দেহভাজন কয়েদি সুশান্ত ঘোষের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে৷ পুলিশের দাবি, সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন৷ তার পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের অত্যাচারে সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে৷ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ঘটনার দিন প্রকৃত রহস্য উন্মোচনে ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ থানার লকআপে সন্দেহভাজন অপরাধীর মৃত্যুতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ত্রিপুরা সরকারকে সত্য উদঘাটনে ২ মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে৷
ইতিপূর্বে পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক মৃতের পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য সংগ্রহ করেছেন৷ এছাড়াও ওই ঘটনা সম্পর্কে আরও অনেকে জেলাশাসকের কাছে বক্তব্য পেশ করেছেন৷ সোমবার তিনি পশ্চিম আগরতলা থানায় এসে তদন্ত করেছেন৷ তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত চলছে৷ ওই দিন সুশান্ত ঘোষের সাথে থাকা একই লোকআপে থাকা অন্য চার কয়েদির বয়ান রেকর্ড করেছি৷
তাঁর দাবি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই তদন্ত প্রক্রিয়া সমাপ্ত হবে৷ তিনি বলেন, প্রচুর নথিপত্র রয়েছে, এগুলি খতিয়ে দেখতে হচ্ছে৷ ফরেনসিক রিপোর্ট-সহ আরও অনেক রিপোর্ট রয়েছে যার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে৷ তাঁর বক্তব্য, বিভিন্ন মানুষের বয়ান রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলছে৷ তাছাড়া, বিভিন্ন নথি এবং প্রমাণ সংগ্রহ হচ্ছে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে৷