নয়াদিল্লি, ১৩ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : মাদকপাচার রোধে ভারত যে অঙ্গীকারবদ্ধ। বৃহস্পতিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে দাঁড়িয়ে তা সাফ জানিয়ে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্ত থেকে আসা মাদক ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি ভারত থেকে যাতে কোনও মাদক বিদেশে না পাচার হয় তাও নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
মাদক পাচার রোধে বিমস্টেক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির দুইদিনের সম্মেলনের উদ্বোধন করে অমিত শাহ বলেন, সম্মেলনে মাদক পাচার রোধে যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখা হবে এবং এই সংক্রান্ত বিষয়ে ঐক্যমত্যেও পৌঁছনো হবে। মাদক পাচারের বিরুদ্ধে ভারত জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এই বিষয়ে একাধিক বার কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং ইন্টারপোলের সঙ্গে রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। বিমস্টেক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি এগিয়ে আসার ফলে নতুন উদ্যম যুক্ত হল।
মাদক পাচার রোধে ভারতের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, বিগত পাঁচ বছরে ভারতে ১ লক্ষ ৮৯ হাজারের বেশি মাদক পাচার সংক্রান্ত মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।এর মধ্যে ২ লক্ষ ৩১ হাজার ৪৮১ পাচারকারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৫০৩ বিদেশি নাগরিক রয়েছে। অবৈধ ড্রাগ রোধে যে সংস্থা এবং সংগঠনগুলি কাজ করে চলেছে, তাদের নিয়ে সমন্বয় বজায় রেখে চলেছে প্রশাসন। পাশাপাশি কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সংস্থাগুলিও নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করে চলেছে।
অমিত শাহ আরও বলেন, নেশাযুক্ত ওষুধের আমদানি এবং রফতানির অনুমতি ভারত সরকার কখনই অনুমোদন করে না। মাদক পাচার রোধে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। মাদক পাচারের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের যে যোগ রয়েছে তা তুলে ধরে অমিত শাহ জানিয়েছেন, এই দুই বিষয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলির উচিত দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের ওয়াল্ড ড্রাগ রিপোর্টের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, গোটা বিশ্বে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৫.৫ শতাংশ মানুষ নেশাযুক্ত ওষুধ সেবন করে থাকেন। ফলে প্রায় ২৭ কোটি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। যা বড়ই চিন্তার বিষয়।