BRAKING NEWS

রাত পোহালেই বিধানসভা নির্বাচন, শেষবেলায় আলাদাভাবে পুজো দিলেন কেজরিওয়াল ও মনোজ তিওয়ারি

নয়াদিল্লি, ৭ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : রাত পোহালেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। শুক্রবার ভগবানের দ্বারস্থ যুযুধান দু’পক্ষই। এদিন কননাট প্লেসের হনুমান মন্দিরে পুজো দিতে গেলেন দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবার কালকাজি মন্দিরে পুজো দিলেন দিল্লি বিজেপির সভাপতি মনোজ তিওয়ারি। আবার এদিনই দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নোটিশ পাঠায় নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ, ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও আপলোড করেন, যা নির্বাচনী বিধিভঙ্গকারী। আগামীকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে নোটিশের জবাব চেয়েছে কমিশন। প্রসঙ্গত, ৪ ফেব্রুয়ারি ওই ভিডিও নিয়ে কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি।

তাঁদের অভিযোগ, ওই ভিডিওতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন কেজরিওয়াল। প্রাথমিক তদন্তে পর শুক্রবার তাঁকে নোটিশ পাঠায় কমিশন। দিল্লির কুর্সিতে আসীন কেজরিওয়ালের হাতিয়ার যদি উন্নয়ন হয়ে থাকে, তবে গেরুয়া শিবিরের হাতিয়ার রাজধানী জুড়ে চলতে থাকা সিএএ বিরোধী আন্দোলন। বিশেষ করে শাহিনবাগের আন্দোলনে দিল্লিবাসীর কতটা অসুবিধা হচ্ছে, তা বারবার প্রচারে তুলে ধরেছেন তাঁরা। সেই আন্দোলনে মদত দিচ্ছেন বলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে গেরুয়া শিবির। প্রচার যত শেষবেলার দিকে এগিয়েছে, আক্রমণের ঝাঁজ ততই বেড়েছে। ভোটারদের মধ্যে ধর্মীয়ভাবে আড়াআড়ি বিভাজনের চেষ্টা করতেও পিছপা হননি বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে মোদীঝড়ে ভর করে ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি সরকার। তারপরেও ২০১৫ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ে বিজেপি। মাত্র তিনটি আসনে শিকে ছিঁড়েছিল তাদের। যদিও ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৩২টি আসন জিতে দিল্লিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ম্যাজিক ফিগার পায়নি। শেষমেশ আপ-কংগ্রেস হাত মিলিয়ে সরকার গড়ে। বেশিদিন টেকেনি সেই সরকার। রাষ্ট্রপতি শাসনের পর ২০১৫তে ফের নির্বাচন হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *