নয়াদিল্লি, ৬ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : রবিবার ভোট। তার আগে আজই দিল্লিতে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার | তবে এর মধ্যে রাজধানীর রাজনীতির পারদ চড়ছে প্রকাশ্যে আসা একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে | বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে আসা ওই চিঠিটি ২৯ জানুয়ারি দিল্লি পুলিশ লিখেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে | যাতে দিল্লির স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী জেলখানা লেখা করার আবেদন জানানো হয়েছে | একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসার পরই জোর আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলের | তবে পুলিশের দাবি এখন আর এর কোনও প্রয়োজন নেই |
গত ২৯ জানুয়ারি দিল্লি পুলিশের তরফে তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রিন্সিপাল সচিবকে একটি চিঠি লেখা হয়। তাতে অনুমতি চাওয়া হয় একটি স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী জেলখানা বানানোর জন্য। দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির নিজামপুরে জংলি রাম পালোয়ান স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী জেলখানা বানানোর অনুমতি চাওয়া হয়। এই চিঠি প্রকাশ হওয়ার পরই জোর আলোচনা শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি ভোটের আগেই সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের জেলে পুরে দেবে পুলিশ?
ওই চিঠিতে স্পষ্ট করে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে লেখা হয়, সেখানকার জমায়েত থেকে প্রতিদিন সংবিধান বিরোধী এবং হিংসা ছড়ানোর উস্কানিমূলক বক্তৃতা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় ওই চিঠিতে। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয় আরও সরকারি দফতরকে। দিল্লির লেফটেন্যান্ট রাজ্যপালকেও এই চিঠি পাঠানো হয় |
তবে বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশ স্পষ্ট করে বলে, এই চিঠি লেখা হয়েছিল ৩০ জানুয়ারির কর্মসূচির জন্য। এখন আর এই চিঠির কোনও গুরুত্ব নেই। উল্লেখ্য, ৩০ জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুদিন উপলক্ষে ওই দিন একাধিক কর্মসূচি ছিল দিল্লিতে। কিন্তু মাঝ দুপুরের জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলি চালানোর ঘটনার পর বিক্ষোভ অন্য দিকে মোড় নেয়। তবে রাজধানীর পুলিশের তরফ থেকে বারবার বলা হল, ওই চিঠির আর কোনও গুরুত্বই নেই।
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, দিল্লির পুলিশ বিজেপির ক্যাডারে পরিণত হয়েছে।