গুয়াহাটি, ১ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : আইআইটি গুয়াহাটির অধ্যাপক অরূপজ্যোতি শইকিয়াকে সমন পাঠিয়ে শনিবার বেলা ১১টায় তাঁদের দফতরে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ বা নিয়া। সমন পেয়ে শনিবার যথাসময় নিয়া দফতরে হাজির হলে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে বিশেষ এক সূত্রের খবর।
আইআইটি গুয়াহাটির ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক অরূপজ্যোতি শইকিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর এর প্রতিবাদে ১১ ডিসেম্বর সংগঠিত দিশপুরে রাজ্য প্রশাসনের সদর জনতা ভবনে হামলা করতে উত্তেজিত ‘মব’কে প্ররোচিত করেছিলেন তিনি। আরও অভিযোগ, অরূপজ্যোতি শইকিয়ার প্ররোচনায় সেদিন গণ-সমাবেশ অধিক হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিল। সূত্রের খবর, আইআইটি গুয়াহাটির অধ্যাপক অরূপজ্যোতি শইকিয়া নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে সংগঠিত আন্দোলনের সময় জনতা ভবনে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিতে মোবাইল ফোনে উস্কানিমূলক নিৰ্দেশ দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁকে সমন পাঠানো হয়েছিল।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, দিশপুরে সেদিন প্ৰতিবাদী হিংসাত্মক কার্যকলাপের পর ১৭ ডিসেম্বর এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা বলেছিলেন, সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকে উত্তিজেত করতে কেন্দ্ৰীয় সরকারের এক সংস্থার অধীনস্থ জনৈক ব্যক্তি জড়িত ছিলেন। সেদিন অবশ্য কোনও ব্যক্তির নামোল্লেখ না করে শিক্ষার সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি দিশপুরে সংগঠিত প্ৰতিবাদী অন্দোলনকে হিংসাত্মক রূপ দেওয়ার প্ৰমাণ হাতে এসেছে বলে স্পষ্ট করে বলেছিলেন মন্ত্রী ড. শর্মা। এছাড়া অসম প্ৰদেশ যুব-কংগ্ৰেস সভাপতি চৌধুরীর ফটো, ভিডিও দেখিয়ে দাবি করেছিলেন, গোটা আন্দোলনের পেছনে তার প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। এছাড়া বলেছিলেন, অসম প্রদেশ কংগ্রেস ও যুব-কংগ্রেসের আরও কয়েকজন এ ধরনের নাশকতাজনিত ঘটনাবলির সঙ্গে জড়িত। সিএএ-বিরোধী হিংসাত্মক আন্দোলনে ইন্ধন যোগাচ্ছে মৌলবাদী জিহাদিরা, অভিযোগ তুলেছিলেন মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে অসম প্রদেশ যুব-কংগ্রেস সভাপতি কামরুল ইসলাম চৌধুরীকে গত ২৩ জানুয়ারি এবং গতকাল ৩১ জানুয়ারি অসম প্রদেশ যুব-কংগ্রেসের উপ-সভাপতি জুবের আনমকে দিশপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গুয়াহাটির দিশপুরে গত ১১ ডিসেম্বর পুলিশের ব্যারিকেড ও পুলিশশেড ভাঙচুর, বিশাল মব নিয়ে জনতা ভবনে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা, গণেশগুড়িতে হাঙ্গামা, পাঞ্জাবাড়িতে শংকরদেব কলাক্ষেত্রে হামলা চালিয়ে শরাই ভাঙচুর ইত্যাদি নানা হিংসা ছড়ানো হয়েছিল।