নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ জানুয়ারি৷৷ বাম আমলের মতো রাম আমলেও ভূঁইফোর সংস্থাগুলি তাদের প্রতারণার বিষ দাঁত বহাল রেখেছে৷ যেখানে এই সরকারী দুর্নীতি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে সেখানেই আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে প্রতারণার জাল পেতে রেখেছে কিছু সংস্থা৷ শহরের ভগৎ সিং যুব আবাসে চাকুরী প্রতারণাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে গেল৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষ পর্যন্ত এনসিসি থানার পুলিশকে সেখানে পৌঁছতে হয়৷
এয়ারপোর্টে চাকুরী দেওয়ার নাম করে সিএএসআই নামে একটি সংস্থা কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের কাছ থেকে৷ আজ ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ ভগৎ সিং যুব আবাসে সিএএসআই এর দুই কর্মী সকালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে৷ ফর্ম জমা রাখার নামে বেকার যুবক যুবতীদের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা রাখতে শুরু করে৷ নিয়োগকে কেন্দ্র করে ভগৎ সিং যুব আবাসে প্রচুর সংখ্যক বেকার যুবক যুবনতীর সমাগম হয়৷ ফর্ম জমা রাখতে গিয়ে এক সময় চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়৷ আবেদনকারীদের মধ্যে হৈচৈ পড়ে যায়৷ এরই মধ্যে জনাকয়েক বেকার যুবক যুবতী সিএএসআই নামে ওই সংস্থার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে নানা ধরনের সন্দেহ প্রকাশ করে৷ তারা একজোট হয়ে এই প্রতারক সংস্থার দুই কর্মীকে ঘেরাও করে৷ তাদের কথাবার্তায় অসংলগ্ণতা দেখে আবেদনকারী বেকার যুবক যুবতীদের মধ্যে নানা ধরনের সন্দেহ দেখা দেয়৷ এরই মধ্যে টাকা দিয়ে যারা ফর্ম জমা দিয়েছে তারা টাকা পুনরায় ফেরত চাইতে সক্রিয় হয়ে উঠে৷ দুই কর্মীকে ঘেরাও করে অবিলম্বে তাদের টাকা ফেরৎ দেওয়ার দাবী জানায়৷ তাতে ভগৎ সিং যুব আবাসে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে যায়৷
বেকারদের মধ্যে থেকে বিষয়টি জানানো হয় এনসিসি থানায়৷ খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে ছুটে যায়৷ দুই কর্মীকে দফায় দফায় জেরা শুরু করে৷ যদিও এই প্রতারক সংস্থার দুই কর্মী এয়ারপোর্টে চাকুরী নিয়োগের বিষয়ে সঠিক কোন জবাব দিতে পারেনি৷ পুলিশ নির্দেশ দিয়ে বলে অবিলম্বে এই সংস্থার এমডি যাতে এনসিসি থানায় আসে৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বেকার যুবক যুবতীরা বিক্ষোভে সোচ্চার হয়৷ পুলিশ অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে৷ দুই প্রতারককে আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে গিয়েছে৷