BRAKING NEWS

বড়ো শান্তিচুক্তি-র বিরুদ্ধাচরণ, বিভিন্ন সংস্থা আহূত ১২ ঘণ্টার বনধ, ব্যাপক প্রভাব নিম্ন অসমে

কোকরাঝাড় (অসম), ২৭ জানুয়ারি (হি.স.) : দিল্লিতে সম্পাদিত বড়ো শান্তিচুক্তি-র বিরোধিতা করে বিভিন্ন সংস্থা আহূত ১২ ঘণ্টার বনধ-এর ফলে নিম্ন অসমের কয়েকটি জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্ৰা অচল হয়ে পড়েছে।

সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্ৰীয় সরকার, রাজ্য সরকার এবং উগ্রপন্থী সংগঠন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অব বডোল্যান্ড (এনডিএফবি)-এর চার গোষ্ঠী-সহ বড়ো জনগোষ্ঠীয় কয়েকটি সংগঠনের মধ্যে সম্পাদিত হয়েছে ত্ৰিপাক্ষিক শান্তিচুক্তি। শান্তিচুক্তি অনুযায়ী বোড়োল্যান্ড টেরিটরিয়াল এরিয়া ডিস্ট্রিক্ট (বিটিএডি) এবং রাজ্যের অন্য তিন জেলার বিভিন্ন এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করে কেন্দ্ৰশাসিত পরিষদ (ইউটিসি) গঠন করা হবে ধারণা করে সারা কোচ-রাজবংশী ছাত্ৰ সংস্থা (আক্ৰাসু), নাথ-যোগী ছাত্ৰ সংস্থা, সারা বড়ো সংখ্যলঘু ছাত্ৰ সংস্থা (এবিএএমসু), সারা আদিবাসী ছাত্ৰ সংস্থা, অবড়ো সুরক্ষা সমিতি এবং কলিতা জনগোষ্ঠী ছাত্ৰ সংস্থা আজ (সোমবার) ১২ ঘণ্টার বনধ-এর ডাক দিয়েছিল। বনধ-এর আহ্বায়কদের ধারণা, সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী অসমের শোণিতপুর, বিশ্বনাথ এবং লখিমপুর জেলার বেশ কয়েকটি অবড়ো অধ্যুষিত গ্রাম ইউটিসিতে অন্তর্ভুক্ত হবে।

বনধ-এর জেরে নিম্ন অসমের অধিকাংশ এলাকার স্বাভাবিক জীবনযাত্ৰায় ব্যাপক প্ৰভাব পড়েছিল। রাস্তাঘাট শুনশান, দোকানপাট বন্ধ, জনমানবশূন্য রাস্তা বা বাজারহাট। অফিস-কাছারিতেও কর্মচারীদের সংখ্যা নিতান্ত নগণ্য ছিল।

বনধ-এর আহ্বায়করা বলেছেন, ইউটিসি গঠনের বিরোধিতা করে আজ ২৭ জানুয়ারি থেকে তাঁরা প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবেন। অবড়ো জনসাধারণের সঙ্গে রাজনৈতিক স্তরে আলোচনা না করা পর্যন্ত ধারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *