BRAKING NEWS

ব্রু শরণার্থী প্রত্যাবর্তনে ত্রিপুরা ও মিজোরাম সরকারকে একমাসের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিল কংগ্রেস

আগরতলা, ১২ জানুয়ারি (হি.স.) : ত্রিপুরায় আশ্রিত ব্রু শরণার্থীদের মিজোরামে প্রত্যাবর্তনের জন্য এক মাসের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। তাঁদের মিজোরামে ফেরত পাঠানো না হলে গণ-আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন প্রাক্তন পিসিসি সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা। তাঁর সাফ কথা, ব্রু শরণার্থীদের জন্য শিবির সংলগ্ন গ্রামে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। কখনও কখনও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও অস্বাভাবিক হয়ে উঠে।

রবিবার বীরজিৎ সিনহা বলেন, ত্রিপুরায় দীর্ঘ সময় ধরে ব্রু শরণার্থীরা আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন।  প্রায় ৩৫ হাজার শরণার্থী ত্রিপুরার বিভিন্ন শিবিরে আশ্রিত। কিন্তু এখন তাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, ব্রু শরণার্থীদের মিজোরামে প্রত্যাবর্তনে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার টালবাহানা করছে। এমন-কি, ত্রিপুরা সরকার তাদের রাজ্যেই পুনর্বাসন দিতে চাইছে। বীরজিতের সাফ কথা, ত্রিপুরায় জমির অভাব রয়েছে। সেই তুলনায় মিজোরামে প্রচুর জমি রয়েছে। সেখানে ব্রু শরণার্থীদের পুনর্বাসন দেওয়া হোক। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ প্যাকেজ দিয়ে ব্রু শরণার্থীদের স্বভূমে পাঠানোর ব্যবস্থা করুক।

তিনি বলেন, এখন শরণার্থী শিবিরের পার্শ্ববর্তী গ্রামে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও অনেক সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাঁর মতে, ব্রু শরণার্থী মিজোরামে প্রত্যাবর্তন না হলে ত্রিপুরায় জাতি-উপজাতির মধ্যে এর ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে। কারণ, সম্প্রতি কাঞ্চনপুরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, প্রায়ই ত্রিপুরার স্থায়ী বাসিন্দারা ব্রু শরণার্থীদের হাতে আক্রান্তের অভিযোগ উঠছে। ফলে, ত্রিপুরার প্রকৃত নাগরিক নিজেদের অসুরক্ষিত মনে করছেন। বীরজিতের মতে, ত্রিপুরার বৃহত্তর স্বার্থে ব্রু শরণার্থীদের মিজোরামে প্রত্যাবর্তন খুবই জরুরি।

তাই তিনি ব্রু শরণার্থী প্রত্যাবর্তনে ত্রিপুরা ও মিজোরাম সরকারকে এক মাসের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। এক মাসের মধ্যে তারা মিজোরামে ফিরে না গেলে গণ-আন্দোলনে নামবে কংগ্রেস, হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *