বাকিংহাম, ১২ জানুয়ারি (হি.স.) : পারিবারিক অশান্তি মেটাতে এবার মাঠে নামলেন ব্রিটেনের রানি। বাকিংহাম প্যালেস সূত্রে খবর, দ্বন্দ্ব মেটাতে সোমবার বৈঠকে বসবেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সেই বৈঠকে প্রিন্স চার্লস-সহ উপস্থিত থাকবেন প্রিন্স উইলিয়ম ও প্রিন্স হ্যারিও। কানাডা থেকে ভিডিও কল করে বৈঠকে অংশ নেবেন মেগান মর্কেলও। মনে করা হচ্ছে, এই বৈঠকে রাজ পরিবারের সমস্যার সমাধান উঠে আসবে। তবে বৈঠক নিয়ে বিরোধী মতও শোনা যাচ্ছে। রাজ পরিবার ঘনিষ্ঠ একাংশের মতে, এই বৈঠকে আদপে হ্যারি ও মেগানের পরিবার রাজ-পরিচয় ছাড়ার প্রক্রিয়া নি্য়ে আলোচনা হতে পারে। সম্প্রতি রাজ পরিচয় ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মর্কেল। তাঁদের এই সিদ্ধান্তের জেরে নড়েচড়ে বসেছে রাজ পরিবার।
চার্লস-ডায়নার দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়ম এবং প্রিন্স হ্যারির মধ্যে সদ্ভাব বিশেষ না থাকলেও, কোনও শত্রুতা সেভাবে চোখে পড়েনি। তবে রাজপরিবার ঘনিষ্ঠদের অনেকর মতেই, প্রিন্স হ্যারির বিয়ের পর মেগান মর্কেল তাঁদের পরিবারে পা রাখতেই নাকি সমস্ত কোন্দলের শুরু। দুই ভাইয়ের পরিবারে এমনই দ্বন্দ্ব যে মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত একটা সময় বন্ধ হয়ে যায়। সেই বিবাদ থামাতে আসরে নামেন স্বয়ং রানি। কিন্তু শেষপর্যন্ত ভাঙন ঠেকানো গেল না। প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মর্কেল বাড়ি থেকে বেরিয়েই গেলেন। বাকিংহাম প্যালেস থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন যে প্রচারের আলো থেকে সরে আসতে তাঁদের অনেক লড়তে হচ্ছে। অনেক নেতিবাচক খবরাখবর হচ্ছে তাঁদের ঘিরে, যা তাঁদের জীবনে প্রভাব ফেলছে। রাজ পরিবার সূত্রে খবর, গোটা ঘটনা সম্পর্কে পরিবারের বাইরে কথা বলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। খোদ রানি নিজের বিশ্বস্ত আধিকারিকদের মধ্যস্থতার দ্বায়িত্ব দিয়েছেন। প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে তাঁদের বৈঠক করার কথা।