নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ ডিসেম্বর ৷৷ পানীয় জল সংগ্রহকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে লঙ্কাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে৷ ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর নগর পঞ্চায়েতের ৭নং ওয়ার্ডে৷ হামলায় এক মহিলা রক্তাক্ত হয়েছে৷ বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন৷ এ ব্যাপারে মামলা পাল্টা মামলা গৃহীত হয়েছে৷পানিসাগর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ তবে কাউকে গ্রেপ্তারের সংবাদ নেই৷ শুখা মরশুমে পানিসাগর এলাকায় প্রতিবছরই পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দেয়৷

পানিসাগর নগর পঞ্চায়েতের ৭নং ওয়ার্ডেও জল সঙ্কট রয়েছে৷ ওই এলাকার ১৭টি পরিবারের পানীয় জলের জন্য রয়েছে একটিমাত্র পাকা রিং ওয়েল৷ সেখান থেকেই ওইসব এলাকার লোকজনরা পানীয় জল সংগ্রহ করেন৷ রিং ওয়েলের কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দা সরকারি চাকুরিজীবী বিজয় নাথ মোটর দিয়ে রিং ওয়েল থেকে জল সংগ্রহ করেন৷ সাতসকালেই মোটর চালিয়ে জল সংগ্রহ করায় রিং ওয়েলের জল অপেক্ষাকৃত তলানিতে চলে যায়৷ এর ফলে অন্যান্য পরিবারগুলির পানীয় জলের সমস্যা দেখা দেয়৷ এনিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই অন্যান্য পরিবারগুলির মধ্যে চাপা ক্ষোভ ধুমায়িত হচ্ছিল৷ সুচিত্রা নাথ নামে এক গৃহবধূ কলসী দিয়ে পানীয় সংগ্রহ করে বিজয় নাথের বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন৷
তখনই বিজয়বাবুকে বাড়ির গেইটে পেয়ে প্রতিবেশী গৃহবধূ সুচিত্রাদেবী অনুরোধ করেছিলেন সাতসকালে মোটর দিয়ে জল উত্তরণ না করার জন্য৷ তাতে অন্যান্যরা জল সংগ্রহ করতে পারেন না৷ অন্যান্যরা জল নিয়ে যাওয়ার পর মোটর দিয়ে জল তোলার কথা বলেছিলেন ওই গৃহবধূ৷ এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়৷ এরই জের ধরে বিজয় নাথ ও তার পুত্র পুত্রবধূ মিলে তার উপর হামলা চালায়৷ মহিলার চিৎকার শুনে বাড়ি থেকে ছুটে আসে তার পুত্র৷ মাকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় সে বাড়িতে নিয়ে যায়৷
বিষয়টি শাসকদলের নেতা সঞ্জিত কুমার দাসকে জানানো হয়৷ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করার উদ্যোগ নেন স্থানীয় ওই নেতা৷ কিন্তু বিজয় নাথ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির মিমাংসা না করে আক্রান্ত সুচিত্রা নাথের নাবালক পুত্রের বিরুদ্ধে পুত্রবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন৷ অপরদিকে সুচিত্রা নাথের পরিবারের তরফেও তার উপর হামলা চালানোর ঘটনা পানিসাগর থানায় মামলা রুজু করা হয়৷ মামলা ও পাল্টা মামলা ঘিরে পুলিশ পড়ে বেকায়দায়৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তারের সংবাদ নেই৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে৷

