নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ ডিসেম্বর৷৷ আইওসিএলের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ এনে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিল অল ত্রিপুরা এলপিজি ট্রান্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন৷ আজ থেকে বিশালগড় বটলিং প্ল্যান্টে ওই সংগঠন ধর্মঘটে সামিল হয়েছে৷ ফলে, আগামীদিনে রাজ্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের সংকট দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷

এলপিজি বাল্ক পরিবহণে আইওসিএলের সাথে অল ত্রিপুরা এলপিজি ট্রান্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের পাঁচ বছরের চুক্তি হয়েছিল৷ হলদিয়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের ভেতর থেকে রাজ্যে এলপিজি বাল্ক পরিবহণের দায়িত্ব পেয়েছিল ওই সংগঠন৷ কিন্তু, সম্প্রতি আইওসিএল চুক্তি ভঙ্গ করে বাংলাদেশের একটি সংস্থাকে বরাত দিয়েছে৷ তাতেই এলপিজি ট্রান্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন প্রতিবাদে সামিল হয়েছে৷ সম্প্রতি ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে খাদ্যমন্ত্রী মনোজ কান্তি দেবের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছিল৷ বাংলাদেশের সংস্থার সাথে চুক্তি বাতিল করে তাদের বরাত পুনর্বহালের আর্জি জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু, আখেরে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজ থেকে ওই সংগঠন ধর্মঘটে সামিল হয়েছে৷
এদিন সকাল দশটা থেকে বিশালগড় বটলিং প্ল্যান্টের সামনে তারা ধর্মঘট পালন করছেন৷ এই বিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিবু প্রসাদ দত্ত জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ অনৈতিক ভাবে আইওসিএল চুক্তি ভঙ্গ করেছে৷ বাল্ক পরিবহণে বাংলাদেশের সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে৷ তাতে, রাজ্যের ট্রান্সপোর্টাররা ভয়ঙ্কর ক্ষতির সম্মুখীন হবে৷ তিনি বলেন, এই পরিবহণ ব্যবসার সাথে গাড়ির চালক এবং শ্রমিকরা নির্ভরশীল৷ চুক্তি বাতিল হওয়ায় তারা কর্মহীন হয়ে পড়বেন৷ তিনি দাবি করেন, বাল্ক পরিবহণে রাজ্যের ট্রান্সপোর্টারদের প্রায় সত্তর শতাংশ গাড়ি নতুন ক্রয় করা হয়েছে৷ ফলে এখন ওই গাড়ির ইএমআই মিটিয়ে দেওয়াও তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না৷ তিনি জানান, চুক্তি বাতিলের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে সামিল হয়েছি আমরা৷
এদিন, এই ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে বিশালগড় বটলিং প্ল্যান্টের সামনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার প্রশ্ণে প্রচুর পুলিশ ও টিএসআর মোতায়েন করা হয়েছিল৷ অবশ্য এদিন ধর্মঘট শান্তিপূর্ণ ভাবেই অতিবাহিত হয়েছে৷ কিন্তু, আগামীকাল থেকে পরিস্থিতি কি দাঁড়াবে এখনই অনুমান করা যাচ্ছে না৷ এমনকি রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ কারণ, ধর্মঘটের দরুন বাংলাদেশের সংস্থা বাল্ক পরিবহণের ঝঁুকি নিতে চাইবে কি না তাতেও অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে৷

