কলকাতা, ১৭ ডিসেম্বর (হি.স.): নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে জেলায় জেলায় যে বিক্ষোভ চলছে তার বীজ বপন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই যে হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত কলকাতা পুলিশ ও রাজ্যের গোয়েন্দারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় হিংসা ছরিয়েছে এইরূপ সন্দেহে ৫৫জনকে শনাক্ত করে তাদের উপর নজরদারি শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্যের গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন বিভিন্ন জেলায় গোলমালের যে সূত্রপাত হয়েছে তার ভাবনা উস্কানি দেওয়া শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই। এই ৫৫ জনের সকলেই একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দারা। এমনকি এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানান এই ৫৫ জনের মধ্যে অনেকেই কলকাতার বাসিন্দা। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক লেখা বা পোস্ট ছড়ানো হয়েছে যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে উঠেছে আর তাতেই আরও অশান্তির আগুন জ্বলেছে বলে মত গোয়েন্দাদের।
অন্যদিকে, গোয়েন্দারা মনে করছেন যে ৫৫জনকে শনাক্ত করা হয়েছে তারা একসময় শহুরে মাওবাদী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু শহর কলকাতায় মাওবাদীদের সিটি কমিটির ভিত নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় তাদের অনেকেরই তেমন কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু বর্তমানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জী বিরোধী মন্তব্য পোস্ট এই সংগঠনগুলি মাধ্যমে ভাইরাল হতে শুরু করে ফলস্বরূপ গোয়েন্দাদের নজরদারি চালানোর সময় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে উঠে আসে এ সকল হারিয়ে যাওয়া মাওবাদী নেতাদের নাম।
ইতিমধ্যেই গোয়েন্দারা ওই ৫৫ জন নেতার ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে নজরদারি শুরু করেছে। তারা কি কি ধরনের কার্যকলাপে জড়িত এবং শহরতলি ও তার আশেপাশের গোলমালে এই নেতাদের অনুমোদন রয়েছে কি-না সে বিষয়েও নজর রাখছে তারা। এমনকি তাদের ওপর নজরদারি চালানোর জন্য কলকাতার চারটি ডিভিশনে দিন ও রাতে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী রাখা হয়েছে। কোনভাবেই হিংসাত্মক প্রতিবাদ সরকারের সম্পত্তি ভাঙচুর কিংবা রাস্তা অবরোধ বরদাস্ত করা হবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছে লালবাজার।