ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি

লণ্ডন, ১৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : ব্রিটেনে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বরিস জনসনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি জয়ী হয়েছেন। বহুল আলোচিত এ নির্বাচনের শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৬৪৯টি আসনের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৬৪টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। এই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করায় ব্রেক্সিট ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা বরিস জনসনকে আর তেমন বেগ পেতে হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে |

ব্রেক্সিট ইস্যুতে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আহ্বানে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন। এ নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি। শুক্রবার এখনও ভোট গণনা চলছে । বহুল আলোচিত এ নির্বাচনের শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৬৪৯টি আসনের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৬৪টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। অন্যদিকে, প্রধান বিরোধীদল লেবার পার্টি পেয়েছে ২০৩টি আসন। এছাড়া, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) পেয়েছে ৪৮টি আসন এবং অন্য আরও তিনটি দল ৩৪টি আসন। এখন পর্যন্ত কনজারভেটিভরা পেয়েছে মোট ভোটের ৪৩ শতাংশেরও বেশি ভোট। এককভাবে সরকার গঠন করতে কনজারভেটিভদের প্রয়োজন ছিল ৩২৬টি আসন। যা তারা অনায়াসেই পেয়ে গেছে | এই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করায় ব্রেক্সিট ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা বরিস জনসনকে আর তেমন বেগ পেতে হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে |

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে রাত ১০টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ। এরপরই শুরু হয় ভোট গণনা | শুরু থেকেই এগিয়ে ছিল বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি। এখন পর্যন্ত ৩৬৪টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। কনজারভেটিভ পার্টি টানা ৯ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। পরপর দুইবার ২০১০ এবং ২০১৫ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি সরকার পরিচালনা করে।

এদিকে, এই নির্বাচনে ২০১৭ সালের সাধারণ নির্বাচনের তুলনায় এবার গড়ে আট শতাংশ কম ভোট পেয়েছে লেবার পার্টি। কনজারভেটিভরা পেয়েছে ৪৩ শতাংশ ভোট | যা গড়ে এক শতাংশ বেশি । তবে, ছোট দলগুলো অন্য সময়ের চেয়ে বিপুল ভোট পেয়েছে এবার। এছাড়া,স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে ৪৮টি আসনে নির্বাচিত হওয়ায় এতে স্কটল্যান্ডের ভবিষ্যৎ দেশটির নিজের হাতেই থাকবে বলে মনে করছেন স্কটল্যান্ডের বর্তমান ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা ফার্গুসন স্টারজন।

নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর নির্বাচনে ভোট দিতে আসায় দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে জনসন | তিনি বলেন, আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইনি। কিন্তু এ নির্বাচন ঐতিহাসিক ঘটনা হয়ে থাকবে। নতুন সরকারকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে এ দেশের জনগণ আমাদের নতুন সুযোগ দিয়েছে। জনগণের ভালোর জন্য গণতান্ত্রিক ইচ্ছে অনুযায়ী এদেশে পরিবর্তন আনবে সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *